কাটাছেঁড়ায় ঘরোয়া সতর্কতা সংক্রমণের ভয় কমায়। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
বাড়ির নানা কাজের ফাঁকে তাড়াহুড়োয় বা অসাবধানে প্রায়ই ছোটখাটো কাটাছেঁড়ার সম্মুখীন হই আমরা। পরিবারে শিশুরা থাকলে তো চোট-আঘাতের ভয় আরও বেশি। যে কোনও কাটাছেঁড়াতেই জীবাণুনাশক নানা ওষুধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু সেই সঙ্গে এ-ও জেনে রাখা উচিত, হঠাৎ কেটে গেলে সামলাবেন কী ভাবে, কী করেই বা রক্তক্ষরণ বন্ধ করে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচানো যেতে পারে।
অনেক সময় দেখা যায়, কেটে যাওয়ার আকস্মিকতায় সিদ্ধান্ত নিতে না পেরে আমরা এমন কিছু ভুল করে বসি, যাতে ক্ষতস্থান শুকোতে দেরি হয়, সংক্রমণের সম্ভাবনাও থেকে যায়।
তাই ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি জানা থাকলে রক্ত ক্ষরণ কমাতে ও আচমকা ধেয়ে আসা বিপদে তা কাজে আসে। প্রাথমিক যত্নে খানিকটা আরামও বোধ করেন মানুষ। তাই জেনে নিন হঠাৎ এমন পরিস্থিতিতে কী কী করণীয়।
আরও পড়ুন: মেদ ঝরাবেন? জেনে নিন ক্যাটরিনার ফিটনেস গুরুর ‘বিকিনি বডি চ্যালেঞ্জ’ টিপস
মানসিক চাপ কমাতে চান? তা হলে আজ থেকেই শুরু করুন এ সব
কেটে গেলে কী করণীয়
কেটে গেলে কীসে কাটছে, তাতে নজর রাখুন। লোহা বা জং ধরা ধারালো কিছুতে কাটলে চিকিৎসকের পরামর্শের সঙ্গে অবশ্যই সংক্রমণরোধী ইঞ্জেকশন নিন। কেটে গেলে প্রথমেই জায়গাটা ভাল করে ধুয়ে নিন। অনেকেই নানা সুগন্ধী সাবান দিয়ে জায়গাটা পরিষ্কার করেন। সেটা না করে বরং ব্যবহার করুন অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল সাবান। ক্ষতস্থান ধুয়ে তার উপর একটা পরিষ্কার কাপড় বা গজ চেপে ধরলে রক্ত ক্ষরণ খানিকটা কমে। গাঢ় হয়ে কাটলে ক্ষতস্থানের মুখে চিনি লাগিয়ে নিন। চিনির দানা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। হাতের কাছে মজুত রাখুন সংক্রমণরোধী নানা মলম ও ওষুধ। রক্তক্ষরণ কমলে বাড়িতে থাকা মলম স্থানটিতে লাগিয়ে গজ কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন। কাটাছেঁড়ায় তুলো দেওয়া আমাদের অভ্যাস। তবে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান বলে, কাটাছেঁড়ায় তুলো দিলে, তুলোর আঁশ ত্বকে আটকে যায়, তাই তুলোর পরিবর্তে গজ কাপড় ব্যবহারই ভাল। হালকা কাটাছেঁড়া নিয়ে বাইরে বেরতে হলে তা ব্যান্ডেজে ঢেকে রাখুন। কিন্তু বাড়িতে থাকাকালীন কিছুটা সময় মলম বা ওষুধ লাগিয়ে খোলা হাওয়ায় রাখুন ক্ষতস্থান। এতে ক্ষত শুকোবে তাড়াতাড়ি। ডায়াবিটিস থাকলে অনেক সময় ক্ষত শুকোতে দেরি হয়। কিন্তু ডায়াবিটিসে আক্রান্ত নন এমন কারও দীর্ঘ দিন ক্ষত না শুকোলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কেটে যাওয়ার পর রক্তপাত বন্ধ না হলে, ক্ষতে জ্বালা দেখা দিলে চিকিৎসককে জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy