ব্রাউন ব্রেডেই আস্থা রাখুন।
দিনের শুরুই শেষ কথা
দিনের শুরুটা যদি স্বাস্থ্যকর না হয় তবে সারা দিন চেষ্টা করেও শরীরকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন না। গ্রিন টি আর হালকা মিষ্টি বা নোনতা বিস্কুট দিয়ে দিন শুরু করুন। তার পর ব্রাউন ব্রেড বা ওটসএবং অন্তত একটা কোনও মরসুমি ফল রাখুন সকালের খাদ্য তালিকায়। হাতের কাজ সারতে সারতেই সেরে নিন ফল খাওয়ার পর্ব। অফিসদৌড়নোর আগে কোনওদিন পোহা, চিঁড়ে বা ডালিয়াও খেতে পারেন। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার সকালের দিকেই খেয়ে নিন। তবে চেষ্টা করুন রুটির উপর জোর দিতে। ভাত জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। অফিসে জোর দিন প্রোটিন আর ফলের উপর। ডায়েটে বেশি করে প্রোটিন রাখুন। যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন কার্বোহাইড্রেট। বরং সামান্য ফ্যাট রাখুন সে তালিকায়।
জলই আসল দাওয়াই
বিভিন্ন কেস স্টাডিতে দেখা গিয়েছে, যাঁরা অফিসে বসে কাজ করেন তাঁরা জল কম খান। এসি-তে বসে থাকার কারণে তেষ্টাও কম পায়। কিন্তু আমাদের আবহাওয়ায় এক জন সুস্থ মানুষের দিনে তিন-চার লিটার জল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। তেমন কোনও অসুখবিসুখ না থাকলে সেটাই মেনে চলুন, নইলে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের কাছ থেকে জেনে নিন আপনার শরীর অনুযায়ী, জলের চাহিদা কতটুকু।
দিনের শুরুতে লেবু মধু দিয়ে ঈষদুষ্ণ জল খাওয়া যেতে পারে। শরীর ডিটক্স করার জন্যে এটি সবচেয়ে কার্যকরী দাওয়াই। অত সময় না পেলে অন্তত গরম জলে লেবু চিপে খান, দিনে দু’বার। আর অফিস ডেস্কে সারা ক্ষণই হাতের কছে মজুত রাখুন জলের বোতল। নির্দিষ্ট সময় অন্তর জল খান।
আরও পড়ুন: কলকাতায় জন্ডিস আতঙ্ক, কী কী লক্ষণে সতর্ক হবেন, অসুখ এড়াবেন কী করে?
বাদ দিন এইগুলি
খিদে পেলে যখন তখন তেলেভাজা, কলিগের সঙ্গে আড্ডার সময়ে বারংবার দুধ চা ও কফি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। বিশেষ করে এই গরমে কোল্ড টি বা কোল্ড কফি বেশি ক্ষতিকর। কথায় কথায় ঠান্ডা পানীয়তে ডুব একেবারেই নয়। পরিবর্তে গ্রিন টি ও ডাবের জল খাওয়ার অভ্যেস করুন। দিনে তিনবার চলতেই পারেগ্রিন টি। বাদ দিন মিষ্টি ও প্যাকেট বন্দি জাঙ্কফুডও।
বেছে নিন এই বিকল্প
বরং অল্পস্বল্প খিদেয় বাড়িতে পাতা টক দই খেতে পারেন। লাঞ্চও করতে হবে হালকা। সকালে যদি ব্রাউন ব্রেড খেয়ে থাকেন তাহলে লাঞ্চে ওটস খেতে পারেন। তবে রুটি খাওয়াই ভাল। ভাত ও রুটিতে প্রায় একই পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট থাকলেও রুটির ফলে তৈরি হওয়া গ্লাইকোজেন তাড়াতাড়ি গলে। যা ভাতের বেলায় সম্ভব নয়। তাই একান্তই ভাত খেলে সেটা ব্রাউন রাইস হলেই ভাল। সঙ্গে সব্জি আর মাছ ও চিকেন।
হাঁটাচলা করুন
ভারতীয় মহিলাদের কোমরের অংশ ভারী হয়। সারাদিন যাঁদের চেয়ারে বসে কাজ তাঁদের বিপদ আরও বেশি। একভাবে বসে থাকলে নানা রকম রোগ হতে পারে। তাই যতটা পারবেন ঘোরাফেরা করুন। মাঝে মধ্যে উঠে অফিস চত্বরেই হেঁটে নিন। লিফ্ট নয়, বরং সিঁড়ি ব্যবহার করুন। দরকারে অদরকারে চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ মিনিট অন্তর চেয়ার থেকে উঠুন। মিনিট পাঁচের পায়চারি আপনার সারা দিনের কাজে বিঘ্ন ঘটায় না, ওটা মানসিক সমস্যা বই আর কিছু নয়। তাই হাঁটাচলা করুন সময় পেলেই।
বাড়ি ফেরার সময়টাও যতটা পারবেন হেঁটে নিন। মর্নিং ওয়াকের সময় না পেলে সন্ধ্যাতেও হাঁটতে পারেন।
আরও পড়ুন: ডেটিং অ্যাপ টিন্ডারের এ বার রূপবদল, আসছে নয়া ফিচার্স