তাঁর রেস্তরাঁ নিয়ে নতুন বিতর্কে জড়ালেন শাহরুখ খানের পত্নী গৌরী খান।
এর আগে মুম্বইয়ের বান্দ্রায় গৌরীার রেস্তরাঁ ‘তরী’ ভেজাল পনির নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিল। আর এ বার হইচই শুরু হয়েছে ‘রেস্তরাঁর খাবারে মাছি’ সংক্রান্ত এক মন্তব্য নিয়ে। মন্তব্যটি করেছেন গৌরীর রেস্তরাঁর অংশীদার অভয়রাজ কোহলি। তিনি বলেছেন, ‘‘রেস্তরাঁর খাবারে মাছি থাকা কোনও বড় ব্যাপার নয়। বরং যেখানে কাজ হচ্ছে, সেখানে এমনটা হতেই পারে।’’
এক সাক্ষাৎকারে ‘তরী’র খাবারের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কথা বলছিলেন অভয়রাজ। তিনি জানাচ্ছিলেন , তাঁদের রেস্তরাঁয় খাবারের নিরাপত্তার বিষয়ে কড়া নজর রাখা হয়। রেস্তরাঁ কর্মীরা এ ব্যাপারে অত্যন্ত যত্নবান। খাবারের পুষ্টিগুণ এবং অন্যান্য বিষয়ে খেয়াল রাখার জন্য নানা ধরনের প্রযুক্তিও ব্যবহার করেন তাঁরা। এর পরে কথাচ্ছলেই তিনি বলে ফেলেন, ‘‘একটা ছোট্ট মাছি বা পোকা বা চুল খাবারে পড়তেই পারে। কাজ করতে গেলে এই সব ছোটখাটো বিষয় ঘটতে পারে। আপনার বাড়িতেও হতে পারে, কর্মক্ষেত্রে খাওয়ার জায়গায় হতে পারে। রেস্তরাঁতেও হতেই পারে। এটা বদলানো সম্ভব নয়।’’
আরও পড়ুন:
গৌরীর রেস্তরাঁর অংশীদারের এই মন্তব্য শুনে অনেকেই বলেছেন, ভুল তো কিছু বলেননি। সত্যি তো বাড়িতেও এমন হতে পারে। সবাই এ কথা ফলাও করে বলতে পারে না। 'তরী' রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ সৎ ভাবে বলতে পেরেছেন। কিন্তু এই মন্তব্যের সমালোচনাও করেছেন অনেকে। কেউ কেউ এমনও বলেছেন, থালায় সাজিয়ে গুছিয়ে পরিচ্ছন্ন খাবার পরিবেশন করার জন্যই মোটা টাকা নেয় রেস্তরাঁগুলি। পরিষেবা দেওয়ার জন্যও বাড়তি টাকা যোগ করা থাকে খাবারের দামে। তার পরেও খাবারে মাছি, পতঙ্গ বা চুল থাকবে?
এ প্রশ্নের কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি 'তরী' কর্তৃপক্ষের তরফে। উল্লেখ্য, এর আগে পনির বিতর্কে গৌরীর রেস্তরাঁ এক ইনস্টাগ্রাম প্রভাবীর দাবি ‘সঠিক নয়’ বলে জানিয়েছিল। ওই প্রভাবী গৌরীর রেস্তরাঁয় গিয়ে খাবার অর্ডার করে সেই খাবার থেকে পনির নিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন ক্যামেরার সামনে। টিংচার আয়োডিনের সংস্পর্শে আসা মাত্রই নীল রঙ ধরেছিল পনিরে। তবে এ বারের বিতর্কের কারণ বাইরের কেউ নন। খোদ গৌরীর রেস্তরাঁর ব্যবসার অংশীদার নিজেই। এখন দেখার, গৌরীর রেস্তরাঁ এই বিতর্ক কী ভাবে সামলায়!