কর্মক্ষেত্রে কেন পিছিয়ে পড়ছেন ভারতীয় মহিলারা? ছবি-প্রতীকী
বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও-এর ডাক দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই বিষয় বেশ কিছু পরিকল্পানা, যোজনার ও একাধিক কর্মসূচীও নেওয়া হয়েছে সরকারি তরফে। কিন্তু তাতে কি এ দেশের মহিলাদের সত্যিই কোনও লাভ হয়েছে?
সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি অফিস, ঢুকলেই দেখা যায় পুরুষদের একাধিপত্য। মহিলাকর্মী হাতেগোনা। সম্প্রতি অক্সফাম ইন্ডিয়ার একটি নতুন সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, ভারতে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলাদের নিয়োগে যে ব্যবধান দেখা যায়, ৯৮ শতাংশ ক্ষেত্রেই তার কারণ হল লিঙ্গবৈষম্য।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, পুরুষদের সমান শিক্ষাগত যোগত্যা ও কর্মক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও কর্মজগতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ভারতীয় নারীরা লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হন। এ ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাদের মধ্যে মহিলাদের নিয়ে বৈষম্যমূলক আচরণকেই দায়ী করা হয়েছে।
সমীক্ষা বলছে, কেবলমাত্র লিঙ্গবৈষম্যের কারণেই মহিলা ও পুরুষদের উপার্জনের ক্ষেত্রেও বড় ব্যবধান তৈরি হয়েছে। একই কাজের জন্য পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের উপার্জন কম এর জন্য ৯৩ শতাংশ লিঙ্গবৈষম্যকেই দায়ী করা হয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এক জন পুরুষ দিনমজুর মহিলা দিনমজুরের তুলনায় প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা বশি উপার্জন করেন।
অক্সফাম ইন্ডিয়ার সিইও অমিতাভ বেহার এই বিষয় বলেন, ‘‘শিক্ষার অভাব বা কর্ম ক্ষেত্রে কম অভিজ্ঞতার জন্য নয়, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মহিলারা অনেকটা পিছিয়ে পড়ছেন লিঙ্গবৈষম্যর কারণে।
সমীক্ষার এই ফলাফল ২০০৪-০৫ থেকে ২০১৯-২০ পর্যন্ত কর্মসংস্থান এবং শ্রম সম্পর্কিত সরকারি তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy