বাড়িতে সাংসারিক কাজে সারা বছর নানা জিনিস ব্যবহার করা হয়। কিন্তু তার মধ্যে এমন একাধিক জিনিস রয়েছে, যেগুলিকে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ না করলেই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
১) যন্ত্রের ফিল্টার: বাড়িতে ওয়াটার পিউরিফায়ারের ফিল্টার নিয়ম করে অনেকেই পরিবর্তন করেন। কিন্তু পর্যবেক্ষণের অভাবে অনেক সময়েই এয়ার কন্ডিশনার, ভ্যাকিউম ক্লিনারের ফিল্টার পরিষ্কার করতে ভুলে যান। উভয় ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। এসি ফিল্টার বাইরের বাতাসের জীবাণু ঘরের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয় না। আবার ভ্যাকিউম ক্লিনারের ফিল্টার পরিষ্কার না করা হলে ঘরের ধুলো-বালি এবং ময়লা ঠিক মতো পরিষ্কার হবে না। ফিল্টার পরিষ্কার না করা হলে যন্ত্রগুলির উপরে চাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে বিদ্যুতের খরচও বেড়ে যেতে পারে। বছরে অন্তত এক বার এই যন্ত্রগুলির ফিল্টার পরিবর্তন করা উচিত।
২) পাস্টিকের কৌটো: বাড়িতে রান্না ঘরের সামগ্রী থেকে শুরু করে খাবার রাখার জন্যও প্লাস্টিকের কৌটো ব্যবহার করা হয়। অনেকেই প্লাস্টিকের জলের বোতল ব্যবহার করেন। কিন্তু চিকিৎসকেদের মতে, একই কৌটো বেশি দিন ব্যবহার করলে, স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। এগুলির সংস্পর্শে ‘মাইক্রোপ্লাস্টিক’ খাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তা নানা রোগের কারণ হতে পারে। দীর্ঘ দিন একই প্লাস্টিকের কৌটো বা বোতল ব্যবহারের ফলে, তার মধ্যে জীবাণু তৈরি হতে পারে। পাশাপাশি, এক সময়ে প্লাস্টিকের থেকে ক্ষতিকারণ উপাদানও নির্গত হয়ে খাবারে বা জলে মিশতে পারে। বছরে অন্তত এক বার বাড়ির সমস্ত প্লাস্টিকের কৌটো বদলে ফেলা উচিত।
আরও পড়ুন:
৩) বালিশ: অনেকেই দীর্ঘ দিন ধরে একই মাথার বালিশ বা কোলবালিশ ব্যবহার করেন। অবশ্য নেপথ্যে অনেক সময় ভাল ঘুমের যুক্তিও কাজ করে। কিন্তু বালিশের তুলোয় খুব সহজে ঘাম, তেল এবং ময়লা আটকে যায়। আবার একই বালিশ দীর্ঘ দিন ব্যবহারের ফলে ঘাড়ে ব্যথাও হতে পারে। অনেক সময়ে তা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। বছরে এক বার বালিশ বদলানো সম্ভব না হলে, অন্তত তার কভারটি নিয়মিত বদলানো উচিত।
৪) বাসন মাজার ছোবড়া: বাড়িতে রান্নাঘরে বাসন মাজার জন্য বাজার থেকে কেনা ছোবড়া ব্যবহার করা হয়। কখনও কখনও তা স্পঞ্জেরও হয়ে থাকে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এঁটো বাসনের থেকে তার মধ্যে খাবারের কণা জমতে থাকে। অনেক সময়ে তা কালো হয়ে গেলে বুঝতে হবে, ছোবড়ার মধ্যে জীবাণু বাসা বেঁধেছে। এই ধরনের সংক্রমিত ছোবড়া দিয়ে বাসন মাজার অর্থ রোগকে আমন্ত্রণ জানানো। পুরনো ছোবড়া অনেক সময়েই রান্নাঘরে দুর্গন্ধের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই মাসে অন্তত এক বার বাসন মাজার ছোবড়া বদলে ফেলা উচিত।
৫) ঘর মোছার কাপড়: বাড়িতে ঘর মোছার ক্ষেত্রে জলে ফিনাইল নিয়মিত ব্যবহার করেন। কিন্তু কাপড়টি কি সময়ান্তরে পরিবর্তন করেন? ঘর মোছার কাপড় বা মপিং স্টিক রোদে নিয়মিত শুকোতে দেওয়া হলেও, সময়ের সঙ্গে তার মধ্যে জীবাণু বাসা বাঁধে। একই কাপড়ের ব্যবহারে ঘর পরিষ্কার রাখতে গিয়ে উল্টে ঘরের কোণে কোণে ছড়িয়ে পড়ে জীবাণু। বাড়িতে ব্যবহৃত ঘর মোছার কাপড় বা মপকে দু’মাস অন্তর বদলে ফেলা উচিত।