সব্জি দিয়ে পনিরের তরকারি একঘেয়ে হয়ে গিয়েছে? পনির বাটার মশালা বা কোফতাও বার বার খাওয়া হয়? পুষ্টিকর পনির দৈনন্দিন খাবারে ব্যবহার করা যায় একটু অন্য ভাবেও।
স্যান্ডউইচের পুর: পনির ছোট ছোট টুকরো করে পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, নুন, গোলমরিচ দিয়ে নাড়িয়ে চাড়িয়ে স্যান্ডউইচে পুর হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন। কিংবা মিহি করে কুচোনো পনির পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা এবং মশলা দিয়ে নাড়িয়ে চাড়িয়ে পাউরুটিতে ভরে স্যান্ডউইচ হিসাবে খাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:
পরোটা: পনির দিয়ে বানিয়ে নেওয়া যায় সুস্বাদু পরোটাও। দু’রকম ভাবে পরোটা হতে পারে। ময়দা মাখার সময় পনির পিষে দিতে হবে। অল্প ময়ান এবং নুন মিশিয়ে নিতে হবে। তার পর সেটি মেখে পরোটা করা যায়। না হলে পনির গ্রেট করে, পেঁয়াজ, লঙ্কাকুচি, চাটমশলা যোগ করে পরোটার লেচিতে পুর হিসাবেও ভরে দেওয়া যায়। তারপর সেটি বেলে নিলেই পনির পরোটা প্রস্তুত।
পনির রোল: রুটি হোক বা পরোটা, তার মধ্যে পনিরের টুকরো দিয়ে রোল খেতে পারেন অনয়াসে। স্বাদ বৃদ্ধিতে পনিরের টুকরোগুলি জল ঝরানো টক দই, আদা-রসুন বাটা, তন্দুরি মশলা মাখিয়ে অল্প তেলে উল্টো-পাল্টে সেঁকে নিতে পারেন। সেগুলি দিয়ে দারুণ পনির রোল হবে।
পনির স্যালাড: স্যালাড বলতে শুধু ভাতের পাতে পেঁয়াজ, শসা, গাজর বোঝায় না, পেট ভরা স্যালাডও হয়। মানে দুপুরের ভাত অথবা রাতের খাবার বাদ দিয়ে শুধু স্যালাডও বানানো যায়। লেটুস, পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, টম্যাটো কুচির সঙ্গে পনিরের টুকরো, সেদ্ধ কাবলি ছোলা সমেত পাতিলেবুর রস এবং অলিভ অয়েল দিয়ে স্যালাড বানিয়ে নিতে পারেন।
পনির চিলা: বেসনের তৈরি পাতলা রুটির মতো চিলার মধ্যে গ্রেট করা পনিরও দিতে পারেন। এতে চিলার স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ বেড়ে যাবে।