Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
prickle heat

গরমে ঘামাচিতে নাকাল? এ সব উপায়ে দূরে থাকুক ত্বকের জ্বালাপোড়া থেকে

খুবই সহজে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই ধরনের এই অস্বস্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রইল সেই দাওয়াই।

ঘামাচি কমাতে ভরসা রাখুন কিছু সহজ ঘরোয়া সমাধানে।

ঘামাচি কমাতে ভরসা রাখুন কিছু সহজ ঘরোয়া সমাধানে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৯ ১১:৪৯
Share: Save:

মাথার উপর ঝাঁ ঝাঁ করছে রোদ। যা না তাপমাত্রা, তার চেয়েও বাতাসের আর্দ্রতার কারণে হাঁসফাঁস গরমের অনুভূতি বাড়ছে। তাপপ্রবাহের মধ্যে বাইরে বার হতে না করছেন চিকিৎসকরা। তবু অফিসকাছারি বেরনো হোক বা টুকটাক নানা কাজ— গরম, রোদ উপেক্ষা করে বাইরে বেরোতেই হয় আমাদের। এরই অব্যর্থ ফলাফল ঘামাচি। সৌন্দর্যের কথা দূরে থাক, এতে অস্বস্তিই বড় হয়ে দাঁড়ায়। বাসে ট্রেনে চলাফেরার অসুবিধা তো আছেই। এ ছাড়া সারা দিন গায়ে জ্বালাপোড়া।

ঘামাচি থেকে বাঁচতে অনেকেই বাজারচলতি পাউডার মাখেন। খনিকের স্বস্তিও মেলে তাতে। আর এই অভ্যাসের দিকেই আঙুল তুলছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের বক্তব্য ঘামাচির সমস্যা থেকে বাঁচতে যাঁরা গায়ে পাউডার লাগান তাঁরা আরও ভুল করেন, কারণ তাতে আমাদের ত্বকের গ্রন্থিগুলোর মুখ বন্ধ হয়ে যায়। তাতে আরও বাড়ে ঘামাচি। চিকিৎসক সায়ন্তন মিত্র বলছেন, ‘‘ত্বকের মৃত কোষ এবং স্টেফ এপিডারমাইডিস নামের জীবাণু ত্বকের লোমকূপের সঙ্গে থাকা ঘামগ্রন্থির মুখ বন্ধ করে দেয়। উষ্ণ আবহাওয়ায় প্রতি নিয়ত শরীরে ঘাম তৈরি হতে থাকে। কিন্তু ঘামগ্রন্থির মুখ বন্ধ থাকায় সেই ঘাম বার হতে পারে না। তাই লাল ফুসকুড়ি বা দানার আকারে যা ফুলে ওঠে।’’

তবে একেবারেই যে কিছু করার নেই এমনটাও নয়, খুবই সহজে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই ধরনের এই অস্বস্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রইল সেই দাওয়াই।

আরও পড়ুন: ওজন কমানোর পথে হাঁটছেন? বিভিন্ন পদ্ধতিতে এই সব্জি খেলেই বাজিমাত!

ঘামাচির জ্বালাপোড়া রুখতে নিমপাতার পেস্ট অন্যতম সেরা অস্ত্র।

এক মুঠো নিমপাতা গুঁড়ো করে পেস্ট করে লাগিয়ে নিন ওই ঘামাচির জায়গায়। মিনিট কুড়ি পরে ওই জায়গা ধুয়ে ফেলুন। দিন চারেকে ফল পাবেন। বেসনের সঙ্গে পরিমাণ মতো জল মিশিয়ে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি ঘামাচির স্থানে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জলে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ঘামাচির অব্যর্থ দাওয়াই। অ্যালোভেরা গাছের পাতার রস চিপে ঘামাচিতে লাগাতে পারেন। অথবা বাজারে এখন বিশুদ্ধ অ্যালোভেরা জেল পাওয়া যায়। সেগুলিও স্নান করে লাগাতে পারেন। কাবলি ছোলা মিক্সিতে শুকনো গ্রাইন্ড করে নিন। তার পর জলে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ১৫ মিনিট ঘামাচির অংশগুলিতে লাগিয়ে রেগে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। চার চামচ মূলতানি মাটির সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ঘামাচির অংশে লাগিয়ে রাখুন। ৩ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন।

আরও পড়ুন: তীব্র গরমে জলের অভাব হলেই বিপদ! প্রয়োজনের তুলনায় কতটা কম খাচ্ছেন জানেন?

বেকিং সোডা ঘামাচির অন্যতম সমাধান।

এক কাপ জলে আধ চামচ বেকিং সোডা গুলে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এর পর একটি পরিষ্কার কাপড় বা তুলো এতে ভিজিয়ে ঘামাচির জায়গায় লাগান। প্রতি দিন করবেন, ঘামাচি কমে যাবে। আলু পাতলা করে কেটে ঘামাচির অংশগুলিতে বোলান। ঘামাচির চুলকানি ও ঘামাচি দুই কমবে। তরমুজের বীজ ছাড়িয়ে শাঁসটি সরাসরি ঘামাচিতে লাগান। টানা কয়েক দিন করলে ঘামাচি মরে যাবে। বরফের টুকরো সকালে এক বার ও রাতে এক বার, স্নান করে উঠে বা গা ধুয়ে উঠে লাগান। খুব তাড়াতাড়ি কমবে ঘামাচি। শশা মিক্সিতে ঘুরিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তারপর ঘামাচির অংশগুলিতে লাগিয়ে রাখুন। আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। পাকা পেঁপে চটকে পেস্ট তৈরি করে লাগান। ২০-২৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

(ছবি: শাটারস্টক)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE