Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
WALKING

হেঁটেই ঝরবে মেদ, তবে হাঁটার সময় আর পদ্ধতি না জানলে উপকার নেই কিছুই!

কী ভাবে হাঁটবেন? মানে, ঠিক কী কী নিয়ম মেনে হাঁটলে তবেই শরীরচর্চার সমান উপাকার পাবেন, ক্যালোরি ঝরবে, জানেন?

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৯ ১২:২৭
Share: Save:
০১ ১৩
নিয়ম মেনে কড়া ডায়েট হোক বা জোরদার শরীরচর্চা— সময়ের অভাব আর পদ্ধতিগত নানা জটিলতা এগুলোর প্রতি ঝুঁকতে বাধা দেয় বেশির ভাগ মানুষকেই। সকলেই ভাবেন, তার চেয়ে হাঁটা ভাল। সহজ পদ্ধতি, প্রতি দিনের রোজনামচায় হাঁটার সময়ও বার করা সহজ। জিম-ফিটনেস সেন্টারে ছোটারও প্রয়োজন পড়ে না। তাই শরীরচর্চার সব উপায়ের মধ্যে হাঁটাকে আপন করে নেন অনেকেই।

নিয়ম মেনে কড়া ডায়েট হোক বা জোরদার শরীরচর্চা— সময়ের অভাব আর পদ্ধতিগত নানা জটিলতা এগুলোর প্রতি ঝুঁকতে বাধা দেয় বেশির ভাগ মানুষকেই। সকলেই ভাবেন, তার চেয়ে হাঁটা ভাল। সহজ পদ্ধতি, প্রতি দিনের রোজনামচায় হাঁটার সময়ও বার করা সহজ। জিম-ফিটনেস সেন্টারে ছোটারও প্রয়োজন পড়ে না। তাই শরীরচর্চার সব উপায়ের মধ্যে হাঁটাকে আপন করে নেন অনেকেই।

০২ ১৩
হাঁটবেন তো বুঝলাম। কিন্তু কী ভাবে হাঁটবেন? মানে, ঠিক কী কী নিয়ম মেনে হাঁটলে তবেই শরীরচর্চার সমান উপকার পাবেন, ক্যালোরি ঝরবে, জানেন?

হাঁটবেন তো বুঝলাম। কিন্তু কী ভাবে হাঁটবেন? মানে, ঠিক কী কী নিয়ম মেনে হাঁটলে তবেই শরীরচর্চার সমান উপকার পাবেন, ক্যালোরি ঝরবে, জানেন?

০৩ ১৩
অফিস, কেনাকাটা, বাজার-দোকান এই সময়গুলোতে গাড়িঘোড়ায় না উঠে একটু হাঁটলেই কি উপকার মিলবে? নাকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরকে খাটিয়ে না হাঁটলে কোনও উপকারই নেই? কখন হাঁটবেন আর কত ক্ষণ ধরেই বা হাঁটলে তবেই মিলবে সুফল?

অফিস, কেনাকাটা, বাজার-দোকান এই সময়গুলোতে গাড়িঘোড়ায় না উঠে একটু হাঁটলেই কি উপকার মিলবে? নাকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরকে খাটিয়ে না হাঁটলে কোনও উপকারই নেই? কখন হাঁটবেন আর কত ক্ষণ ধরেই বা হাঁটলে তবেই মিলবে সুফল?

০৪ ১৩
পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহের মতে, ‘‘হাঁটাহাঁটি করুন যতটা পারেন। খুচরো হাঁটায় শরীরের অঙ্গ-প্রতঙ্গরা সচল থাকবে। তবে এতে খুব একটা মেদ ঝরে না। মেদ ঝরাতে গেলে কিছু নিয়ম মেনে হাঁটাতেই মিলবে উপকার।” কী কী সে নিয়ম?

পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহের মতে, ‘‘হাঁটাহাঁটি করুন যতটা পারেন। খুচরো হাঁটায় শরীরের অঙ্গ-প্রতঙ্গরা সচল থাকবে। তবে এতে খুব একটা মেদ ঝরে না। মেদ ঝরাতে গেলে কিছু নিয়ম মেনে হাঁটাতেই মিলবে উপকার।” কী কী সে নিয়ম?

০৫ ১৩
নিয়মের সঙ্গে জেনে রাখা দরকার হাঁটার সময়ও। সপ্তাহে হাঁটতে হবে অন্তত ২৫০ মিনিট। গড় হিসেবে কম করে ৩৫ মিনিটের একটু বেশি। এটুকু হাঁটা শরীরের শুধু মেদ ঝরাবে তা-ই নয়, এই দীর্ঘ ক্ষণ হাঁটা হার্টের অসুখ ভাল করে। কোলেস্টেরল কমায়। কিন্তু শুধু সময় মানলেই হবে না। জানতে হবে আরও কিছু নিয়ম।

নিয়মের সঙ্গে জেনে রাখা দরকার হাঁটার সময়ও। সপ্তাহে হাঁটতে হবে অন্তত ২৫০ মিনিট। গড় হিসেবে কম করে ৩৫ মিনিটের একটু বেশি। এটুকু হাঁটা শরীরের শুধু মেদ ঝরাবে তা-ই নয়, এই দীর্ঘ ক্ষণ হাঁটা হার্টের অসুখ ভাল করে। কোলেস্টেরল কমায়। কিন্তু শুধু সময় মানলেই হবে না। জানতে হবে আরও কিছু নিয়ম।

০৬ ১৩
সুমেধার কথায়, ‘‘হাঁটাহাঁটির অভ্যাস না থাকলে প্রথম দিকে এক সেকেন্ডে একটা স্টেপ, এই অঙ্কেই হাঁটতে হবে। তার পর হাঁটার অভ্যাস হলে সেকেন্ডে দুটো স্টেপের হিসেবে হাঁটতে হবে। আর অবশ্যই হাঁটতে হবে একটানা রাস্তা ধরে। বারবার থমকে, ঘন ঘন দিক বদলে হাঁটার চেয়ে টানা হাঁটায় উপকার বেশি। তাই বাড়ির ছাদে বা লনে নয়, রাস্তা ধরে হাঁটুন।’’

সুমেধার কথায়, ‘‘হাঁটাহাঁটির অভ্যাস না থাকলে প্রথম দিকে এক সেকেন্ডে একটা স্টেপ, এই অঙ্কেই হাঁটতে হবে। তার পর হাঁটার অভ্যাস হলে সেকেন্ডে দুটো স্টেপের হিসেবে হাঁটতে হবে। আর অবশ্যই হাঁটতে হবে একটানা রাস্তা ধরে। বারবার থমকে, ঘন ঘন দিক বদলে হাঁটার চেয়ে টানা হাঁটায় উপকার বেশি। তাই বাড়ির ছাদে বা লনে নয়, রাস্তা ধরে হাঁটুন।’’

০৭ ১৩
এমন কোনও রাস্তা বাছুন, যেখানে ধোঁয়া, যানজট, বড়সড় গাড়ির উপস্থিতি প্রায় নেই। গলিপথগুলো হাঁটার জন্য ভাল। বার বার হাঁটার সময় গাড়িঘোড়ার উপদ্রবে দাঁড়াতে হলে তা হাঁটায় বিঘ্ন ঘটায়। আর যানবাহনের ধোঁয়া শরীরের জন্যও ভাল নয়।

এমন কোনও রাস্তা বাছুন, যেখানে ধোঁয়া, যানজট, বড়সড় গাড়ির উপস্থিতি প্রায় নেই। গলিপথগুলো হাঁটার জন্য ভাল। বার বার হাঁটার সময় গাড়িঘোড়ার উপদ্রবে দাঁড়াতে হলে তা হাঁটায় বিঘ্ন ঘটায়। আর যানবাহনের ধোঁয়া শরীরের জন্যও ভাল নয়।

০৮ ১৩
অনেকেই পোষ্য নিয়ে বেড়াতে যান। সেই অভ্যাসে রাশ টানবেন না, এতে পোষ্য কষ্ট পায়। বরং তাকে নিয়ে হাঁটার সময়টা আলাদা করে বরাদ্দ করুন। ওজন কমানোর জন্য হাঁটার সময় একা হাঁটুন। দ্রুত হাঁটার সঙ্গে তাল মেলাতে পোষ্যের অসুবিধা হবে ও সে তার বেড়ানো উপভোগ করবে না। আপনিও তাকে সঙ্গে নিয়ে সেকেন্ডে দুটো স্টেপের হিসেব বজায় রাখতে পারবেন না।

অনেকেই পোষ্য নিয়ে বেড়াতে যান। সেই অভ্যাসে রাশ টানবেন না, এতে পোষ্য কষ্ট পায়। বরং তাকে নিয়ে হাঁটার সময়টা আলাদা করে বরাদ্দ করুন। ওজন কমানোর জন্য হাঁটার সময় একা হাঁটুন। দ্রুত হাঁটার সঙ্গে তাল মেলাতে পোষ্যের অসুবিধা হবে ও সে তার বেড়ানো উপভোগ করবে না। আপনিও তাকে সঙ্গে নিয়ে সেকেন্ডে দুটো স্টেপের হিসেব বজায় রাখতে পারবেন না।

০৯ ১৩
দলবেঁধে হাঁটতে বেরবেন না একই কারণে। অনেকেই এই সময় গল্পগাছা করতে করতে হাঁটেন। কথা না বললেও দলছুট হয়ে যাওয়ায় অনেকে হাঁটা শ্লথ করে ফেলেন। এই অভ্যাসগুলো কিন্তু মেদ কমানোর পথে বাধা হতে পারে। মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতেও হাঁটবেন না। এতে হাঁটার গতি শ্লথ হয় ও হাঁপিয়ে গিয়ে বেশি দূর হাঁটা যায় না।

দলবেঁধে হাঁটতে বেরবেন না একই কারণে। অনেকেই এই সময় গল্পগাছা করতে করতে হাঁটেন। কথা না বললেও দলছুট হয়ে যাওয়ায় অনেকে হাঁটা শ্লথ করে ফেলেন। এই অভ্যাসগুলো কিন্তু মেদ কমানোর পথে বাধা হতে পারে। মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতেও হাঁটবেন না। এতে হাঁটার গতি শ্লথ হয় ও হাঁপিয়ে গিয়ে বেশি দূর হাঁটা যায় না।

১০ ১৩
দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ বাড়াবে এমন কিছু ভাবতে ভাবতে হাঁটা চলবে না কিছুতেই। বরং সে সব ঠেকাতে ওই সময়টা ইয়ারফোন বা হেডফোনে গান শুনুন। এতে ফিল গুড হরমোনের জোগান যেমন বাড়বে, তেমনই হাঁটার রিদ্‌ম কমবে না। তবে ব্যস্ত রাস্তা, যানজটের পথে হাঁটলে হেডফোন অবশ্যই এড়িয়ে চলুন।

দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ বাড়াবে এমন কিছু ভাবতে ভাবতে হাঁটা চলবে না কিছুতেই। বরং সে সব ঠেকাতে ওই সময়টা ইয়ারফোন বা হেডফোনে গান শুনুন। এতে ফিল গুড হরমোনের জোগান যেমন বাড়বে, তেমনই হাঁটার রিদ্‌ম কমবে না। তবে ব্যস্ত রাস্তা, যানজটের পথে হাঁটলে হেডফোন অবশ্যই এড়িয়ে চলুন।

১১ ১৩
হাঁটার সময় কী ধরনের জুতো পরছেন, তার দিকে খেয়াল রাখুন। পায়ের আরাম হয়, এমন জুতো পরুন। অনেকটা রাস্তা হাঁটা যায়, এমন স্পোটস শু বা পাম্পশু পরতে পারলেও ভাল।

হাঁটার সময় কী ধরনের জুতো পরছেন, তার দিকে খেয়াল রাখুন। পায়ের আরাম হয়, এমন জুতো পরুন। অনেকটা রাস্তা হাঁটা যায়, এমন স্পোটস শু বা পাম্পশু পরতে পারলেও ভাল।

১২ ১৩
হাতে বা পিঠে অনক বোঝা নিয়ে হাঁটবেন না। এতে ক্লান্তি বাড়বে, বেশি ক্ষণ হাঁটা সম্ভব হবে না। হাঁটার নির্দিষ্ট কোনও সময়ও নেই। সকালে সময় না পেলে বিকেলে বা সন্ধেয় হাঁটুন। রাতে খাওয়াদাওয়ার পরেও হাঁটতে পারেন। তবে খুব ভরাপেটে আবার একেবারে খালিপেটে হাঁটবেন না।

হাতে বা পিঠে অনক বোঝা নিয়ে হাঁটবেন না। এতে ক্লান্তি বাড়বে, বেশি ক্ষণ হাঁটা সম্ভব হবে না। হাঁটার নির্দিষ্ট কোনও সময়ও নেই। সকালে সময় না পেলে বিকেলে বা সন্ধেয় হাঁটুন। রাতে খাওয়াদাওয়ার পরেও হাঁটতে পারেন। তবে খুব ভরাপেটে আবার একেবারে খালিপেটে হাঁটবেন না।

১৩ ১৩
পায়ে বা হাঁটুতে চোট থাকলে বা কোমরের সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই হাঁটার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দিনে কতটুকু হাঁটলে আপনার হাড় ও স্নায়ু তা সইতে পারবে, তা জেনে তবেই হাঁটাহাঁটি শুরু করুন।

পায়ে বা হাঁটুতে চোট থাকলে বা কোমরের সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই হাঁটার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দিনে কতটুকু হাঁটলে আপনার হাড় ও স্নায়ু তা সইতে পারবে, তা জেনে তবেই হাঁটাহাঁটি শুরু করুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE