দিল্লিকে পথকুকুর-মুক্ত করতে হবে! সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে ঘিরে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সারমেয়প্রেমীদের মধ্যে অনেকেই পথকুকুরদের দেখাশোনা করেন। কেউ কেউ আবার তাদের পোষ্য হিসেবে গ্রহণ করেন। তবে পথকুকুরকে পোষ্য হিসেবে বেছে নেওয়ার পর কয়েকটি পদক্ষেপ করা উচিত। তার ফলে পোষ্য এবং বাড়ির সদস্যদের কোনও ক্ষতি হবে না।
আরও পড়ুন:
১) পথকুকুরেরা সাধারণত জনপদের কোনও একটি নির্দিষ্ট এলাকায় বড় হয়। তাই বাড়িতে আনার পর আগে তাদের মনস্তত্ত্ব বোঝা উচিত। তাদের বোঝানো উচিত যে, নতুন জায়গায় তারা সুরক্ষিত থাকবে।
২) পথকুকুরদের খাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় থাকে না। রাস্তায় খাবার খুঁজেই তাদের পেট ভরে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে অনেক সময়ে তারা খাবার জমিয়ে রাখে। তাই বাড়িতে আগে তাদের নির্দিষ্ট খাবারের রুটিন তৈরি করা উচিত।
৩) পথকুকুরদের মনে ‘বাড়ি’ অনুভবটি জাগিয়ে তোলার প্রয়োজন। তাই আগে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। খাওয়া-দাওয়া, প্রাতঃকৃত্য-সহ খেলাধুলোর অভ্যাস তৈরি করানো উচিত।
৪) পথকুকুরদের ক্ষেত্রে নিয়মানুবর্তীতার পরিবর্তে ভালবাসার উপর জোর দেওয়া উচিত। কারণ, অনেক সময়েই তারা মানুষের অত্যাচারের শিকার হয়। ফলে মানুষের প্রতি তাদের মনে ভীতি তৈরি হয়। তাই বকাবকির পরিবর্তে ভালবাসার মাধ্যমে তাদের মন জয় করা উচিত।
৫) পথকুকুর যদি পোষ্য হিসেবে বাড়িতে আসে, তা হলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে আগে তার টিকাকরণ প্রয়োজন এবং নিয়মিত তাকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো উচিত।