Advertisement
০২ মে ২০২৪
Parenting Tips

বয়ঃসন্ধির মুখে দাঁড়িয়ে আপনার সন্তান কি এই সব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে?

শারীরিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বয়ঃসন্ধির সময় মনেও অনেক পরিবর্তন আসে। কিন্তু সেই পরিবর্তন আপনার সন্তানের উপর আদৌ ভাল প্রভাব ফেলছে তো?

সন্তানের ব্যবহারে কোন কোন পরিবর্তন দেখলে সতর্ক হবেন?

সন্তানের ব্যবহারে কোন কোন পরিবর্তন দেখলে সতর্ক হবেন? ছবি : সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২২ ২৩:১১
Share: Save:

অনলাইন হোক বা অফলাইন, নিত্য দিন বাচ্চাদের পড়াশোনার চাপ বেড়েই চলেছে। এই বয়সে পড়াশোনার চাপ সকলেরই থাকে। তবে সকলের মেধা সমান নয়, তাই চাপটা কারও ক্ষেত্রে কম বা কারও ক্ষেত্রে বেশি হতেই পারে। কিন্তু বয়ঃসন্ধিকালে পড়াশোনা ছাড়াও সন্তানের বাহ্যিক আরও কিছু পরিবর্তন বাবা, মায়েদের কপালে ভাঁজ ফেলে। যেমন সব কিছুতে খুঁত বের করা, কথায় কথায় তর্ক করা, নিজেকে সকলের চেয়ে আলাদা করে রাখার মতো এমন অনেক লক্ষণই অভিভাবকদের ভাবায়। শারীরিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই সময় মনেও অনেক পরিবর্তন আসে। কিন্তু সেই পরিবর্তন আপনার সন্তানের উপর আদৌ ভাল প্রভাব ফেলছে তো?

সন্তানের কোন কোন পরিবর্তন দেখলে সতর্ক হবেন?

১) হীনমন্যতানিজের পরিবার, নিজের পোশাক এমনকি নিজের চেহারা নিয়ে মনের মধ্যে কোনও খারাপ লাগা জন্মাচ্ছে কি না খেয়াল রাখুন। বয়ঃসন্ধির সময় শরীরেও নানা রকম পরিবর্তন হয়, তার প্রভাব যেন আপনার সন্তানের আত্মসম্মানে আঘাত না করে।

পড়াশেনায় প্রতিযোগিতা থাকাও ভাল কিন্তু তা যেন সুস্থ এবং স্বাভাবিক হয়।

পড়াশেনায় প্রতিযোগিতা থাকাও ভাল কিন্তু তা যেন সুস্থ এবং স্বাভাবিক হয়। ছবি : সংগৃহীত

২) হেনস্থাস্কুলে বা পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে ছোটখাটো মজার মধ্যে দিয়ে আপনার সন্তান হেনস্থার স্বীকার হচ্ছে কি না। কারণ মুখে না বললেও একাকিত্ব, উদ্বেগ, অবসাদ আপনার সন্তানকে গ্রাস করবে।

৩) পড়াশোনার চাপস্কুল হোক বা কলেজ পড়াশোনার চাপ থাকবেই। পড়াশেনায় প্রতিযোগিতা থাকাও ভাল কিন্তু তা যেন সুস্থ এবং স্বাভাবিক হয়। জীবনে ব্যর্থ হতে শেখাও জরুরি, না হলে সাফল্য এসে ধরা দেবে না।

৪) নিগ্রহঅনেক সময় পাড়ায়, স্কুলে সমবয়সি বা বয়সে একটু বড় বন্ধুরা জোর করে ধূমপান করিয়ে দেয় বা নরম পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে মদ খাইয়ে দেয়। এই সমস্ত নেশার জিনিস সম্বন্ধে আগে থেকে সন্তানকে সতর্ক করে রাখাই ভাল। জোর করে আটকানোর প্রয়োজন নেই। কিন্তু কোনটা ভাল বা কোনটা খারাপ সেটুকু বুঝিয়ে দেওয়া জরুরি।

৫) ভুল বোঝাঅল্প বয়সে বেশির ভাগ ছেলে মেয়েরই অভিযোগ থাকে, তাদের নাকি কেউ বোঝে না। মা-বাবাদের কাছে তাদের কথার কোনও গুরুত্ব নেই এমন অভিযোগও আসে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় শিশুটি হয়তো তার কাছের কোনও এক বন্ধুর সঙ্গে মা-বাবাকে বলতে না পারা কথাগুলো ভাগ করে নিচ্ছে। কিন্তু অনেকের জীবনেই তো তেমন বন্ধুর অভাব থাকে। তাই অভিভাবকদের সতর্ক থাকতেই হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Parenting
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE