বিশ্বের অন্যতম বড় ধনকুবের সংস্থার কর্ণধার মুকেশ অম্বানীর পুত্রবধূ। দেশের অন্যতম নামী হিরে ব্যবসায়ী অরুণ রুসেল মেহতার কন্যা। কিন্তু সেই শ্লোকা মেহতা নিজেও একটি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। দুই সন্তানের মা। সমাজের চোখে— তিনি ধনী পরিবারের কন্যা ও পুত্রবধূ, টাকার অভাব নেই, বাড়ি বসে কেবল সন্তানের লালনপালন করলেই তো হয়। এই ধারণাকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে আর পাঁচজন সাধারণ নারীর মতোই তিনিও কাজে বেরোন, অফিসে যান। বাড়িভর্তি আয়া থাকলেও শ্লোকা জানেন, সন্তানদের জন্য তাঁকে সময় বার করতেই হবে। কিন্তু আবার তাঁর নিজস্ব পরিচয় নির্মাণেরও প্রয়োজন রয়েছে। তাই সব কিছু সামলে চলার জন্য নানাবিধ পথ অবলম্বন করতে হয় তাঁকে। সে নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুললেন শ্লোকা। কর্মরতা নারীদের জন্য ব্যক্তিসত্তা ও মাতৃসত্তার মধ্যে ভারসাম্য আনার পরামর্শ দিলেন। সন্তানদের জন্য কোন উদাহরণ তৈরি করতে চান আকাশ অম্বানীর স্ত্রী?
নিজের সন্তানের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকেও একই পরামর্শ দিতে চান শ্লোকা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
অম্বানীদের জ্যেষ্ঠ পুত্রবধূর কথায়, ‘‘আমি যখন আমার সন্তানদের বলি যে— ‘তোমাদের যেমন স্কুলে যেতে হয়, মাকেও তেমন অফিসে যেতে হয়’, তখন খুবই গর্ব হয় আমার। আমরা সবাই নিজেদের আরও উন্নত, আরও সফল দেখতে চাই। তার জন্য কিছু না কিছু সকলেই করি। আর সেখান থেকে যদি আপনার সন্তানেরা অনুপ্রেরণা পায়, এর থেকে আনন্দ আর কিসে আছে! উত্তরাধিকার হিসেবে এ সবই রেখে যাওয়া উচিত।’’
নিজের সন্তানের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকেও একই পরামর্শ দিতে চান শ্লোকা। তিনি বলছেন, ‘‘ছোটদের আমি একটি কথাই জানাতে চাই, তারা যেন কোনও পেশাকেই কম না মনে করে। সব রকম পেশাই গ্রহণ করা যায়। আর জানতে হবে, তারা যা করছে, তাতে সফল হতে যদি সময়ও লাগে, তা-ও টিকে থাকতে হবে। রোজ কাজে যেতে হবে। বিশ্বাস করতে হবে, তারা কিছু না কিছু সৃষ্টি করছে।’’ সহজ কথায়, তিনি চান, তাঁর সন্তানেরা যেন সহজে হাল না ছাড়ে। তিনি তাঁর সন্তানদের হয়ে স্বপ্ন দেখেন, তারা যদি কোনও স্বপ্ন দেখে, তা হলে সেটি সাকার করার পিছনে ছুটতে হবে। সুযোগ ঠিক আসবে।
আরও পড়ুন:
শ্লোকার পরিবারে তাঁর সন্তানেরা ছাড়াও আরও অনেক ছোট সদস্য রয়েছে। তাই নিজের মাটি শক্ত করার বিষয়ে তিনি আরও সচেতন হয়ে পড়েন। তিনি চান, ছোটরা যেন তাঁর থেকে শেখে। টাকা নয়, জীবনবোধকেই সেরা উত্তরাধিকার হিসেবে দেখেন শ্লোকা।