নিশ্চিন্তে ঘুমোনোর উপায় নেই। পড়ার চাপ, মায়েদের প্রত্যাশা, কম্পিউটারের নেশা। সব মিলিয়ে ঘুম কমে যাচ্ছে শিশুদের। বাচ্চারা কম ঘুমোচ্ছে। ফলে পাল্টে যাচ্ছে মস্তিষ্কের গড়ন। স্মৃতি টাল খাচ্ছে। মেধা কমে যাচ্ছে। আর স্থায়ীভাবে মস্তিষ্কের এই গড়ন পাল্টে যাওয়ার জেরে শিশুদের কেউ অবসাদে ভুগছে, কেউ আলস্যে, কেউ আবার কৈশোরেই নেশায় আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। এমনটাই জানা গিয়েছে সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষায়।
গবেষকরা জানিয়েছেন, শিশুরা এক ঘণ্টা কম ঘুমোলেও, ক্লান্তি জড়িয়ে ধরায় তারা পড়া মুখস্থ করতে পারে না। মস্তিষ্কের কোষগুলির স্মৃতিধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এমনটা ঘটে। কারণ রক্তস্রোত থেকে গ্লুকোজ নিতে পারে না। কম ঘুমোলে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে, আর ঘুমের মধ্যেই মস্তিষ্কের স্মৃতি সঞ্চয় হয়। সারাদিন ধরে আমরা যা শিখছি তা সবই যে মস্তিষ্কের একদিকে সঞ্চিত হচ্ছে তেমনটা কিন্তু নয়। বিষয় নিরিখে ভিন্ন প্রকোষ্ঠে সঞ্চিত হয়। ইতিবাচক স্মৃতিগুলি হিপোক্যাম্পাস অংশে সঞ্চিত হয়। আর নেতিবাচক স্মৃতিগুলি অ্যামাইগডালা অংশে সঞ্চিত হয়। ঘুম কম হলে হিপোক্যাম্পাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy