হৃদয়ের যত্নে নজর দিন খাবার পাতেও। ছবি: আইস্টক।
হৃদয়ের যত্নে কার্পণ্য করতে চান না অতি বড় কৃপণও। তবু হৃদযন্ত্র কতটা বিপজ্জনক অবস্থায় আছে তা তিন মাস অন্তর খতিয়ে দেখার প্রচলন এখনও সব ঘরে আসেনি। চল নেই প্রয়োজনীয় চেক আপ কয়েক মাস অন্তর করিয়ে রাখার। এ সব সচেতনতা যেমন নেই, তেমনই হৃদরোগ ঠেকাতে গ্রহণ করা যত্নেও থেকে যায় অনেক ঘাটতি।
অনেকেই মনে করেন স্রেফ শরীরচর্চা ও দীর্ঘ ক্ষণ হাঁটাহাঁটিই জব্দ করবে যাবতীয় হার্টের অসুখ। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা কিন্তু এইটুকুতেই খুশি নন। বরং তাঁদের মতে, শরীরচর্চার পাশাপাশি খাবার পাতেও রাখতে হবে নজর। অসুখের সঙ্গে লড়ার জন্য তবেই সম্পূর্ণ বর্ম তৈরি করা সম্ভব হবে।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রকাশ হাজরার মতে, “খাবারের মধ্যে দিয়ে শরীরে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা আমরা অর্জন করি, তাকে অবহেলা করা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বিশেষ করে হার্টের যত্নে খাবারদাবার নিয়ে সব সময় সচেতন থাকতে হয়। খুব বেশি তেল-মশলা যেমন এই অসুখে বারণ, তেমনই হার্টের কার্যকারিতা বাড়াতে ও হৃদস্পন্দন ঠিক রাখতে কিছু কিছু খাবার অবশ্যই নিত্য ডায়েটে রাখা উচিত। তবে এই সব খাবারের পাশে শরীরচর্চা, হাঁটাহাঁটিও করতে হবে। খাবার ও শরীরচর্চা একে অন্যের পরিপূরক।’’
আরও পড়ুন: রোজ সকালে এই ম্যাজিক ড্রিঙ্কেই সারবে হজমের সমস্যা!
কোন কোন খাবার রোজ পাতে রাখলে হার্টের আর একটু বেশি খেয়াল রাখা যায় জানেন?
ডিম: ‘হার্ট’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুযায়ী, প্রতি দিন ডিম খেলে শরীরে কেবলমাত্র প্রোটিনের জোগান আসে তা-ই নয়, কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ কমাতেও এই খাবারের ভূমিকা অসীম। হার্টে রক্ত চলাচলের ভারসাম্য বজায় রাখতে ও হৃদস্পন্দনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ সাহায্য করে ডিমের সাদা অংশ। কুসুম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ার শঙ্কাও আধুনিক গবেষণা মানে না। বরং কুসুম খারাপ কোলেস্টেরলকে শরীরের উপযোগী কোলেস্টেরলে পরিবর্তিত করে বলেই মত বেশির ভাগ চিকিৎসকদের। তাই অ্যালার্জি জাতীয় সমস্যা না থাকলে ডিম রাখুন পাতে।
কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ সরাতে কাজে আসে এমন খাবার রাখুন পাতে।
আরও পড়ুন: দাঁত সুস্থ রাখতে নারকেল তেলের এই ব্যবহারগুলো জানতেন?
ব্লু বেরি: স্মুদি বা ফ্রুট স্যালাডের স্বাদ বাড়াতে বেরি জাতীয় ফলকে পাতে রাখেন? তা হলে এ বার তাদের আরও বেশি করে খান হার্টের যত্ন নেবেন বলে। ‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর গবেষকদের মতে, ১৫০ গ্রাম ব্লু বেরি হার্টের ভাস্কুলার ফাংশনের উন্নতিসাধন করে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্থোসিয়ানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হার্টের কার্যকারিতা বাড়িয়ে কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজকে দূরে রাখে।
পালং: শরীরের উপকারে সবুজ শাকসব্জি পাতে রাখতে বলেন প্রায় সব চিকিৎসকই। হার্টের যত্নে এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নম্বর কিন্তু দিতেই হবে পালং শাককে। ভিটামিন কে যুক্ত এই শাক ধমনীকে সুরক্ষিত রাখে ও রক্তের চাপ কম রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। চোখের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও এই শাক বিশেষ উপযোগী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy