ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে বলবেন যমের দুয়ারে কাঁটা পড়ল। এ দিকে তার সামনে সাজিয়ে দেবেন থরে থরে মিষ্টি। খাওয়াবেন তেল-মশলা দিয়ে কষিয়ে রাঁধা রগরগে মাছ-মাংস। তা কী করে হয়!
বোনেরা বলবেন এক দিন খেলে কিচ্ছু হবে না। শরীর সুস্থ থাকলে নিশ্চয়ই হবে না। তবে এখন ৩০-৪০ বছর বয়সের বহু যুবককেও কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, প্রেসার, সুগারের ওষুধ খেতে হয়। বুঝে করতে হয় খাওয়া দাওয়া। বদলে যাওয়া সময়ের কথা মাথায় রেখে তাই ভাইয়ের পাতে পরিবেশন করতে পারেন এই স্বাস্থ্যকর খাবারটি।
বিনা তেলের আদা-কমলা চিংড়ি। এক ফোঁটা তেলও না দিয়ে যে চিংড়ির এমন স্বাদ মিলতে পারে, তা কে জানত। তবে রান্নাটি নতুন নয়। বহু পুরনো দিনে এমন রান্না খাওয়ার চল ছিল এই বাংলাতেই। চাইলে খুব অল্প সময়ে সহজেই আপনিও বানিয়ে নিতে পারেন বাড়িতে।
উপকরণ:
১০-১২ টা মাঝারি চিংড়ি
২ টে মাঝারি পেঁয়াজ কাটা
৪-৫ টা কাঁচা লঙ্কা
৫-৬ টা কিসমিস
১ টেবিল চামচ আদা বাটা
১.৫ টেবিল চামচ কাশ্মীরী লঙ্কা গুঁড়ো
স্বাদমতো নুন এবং চিনি
১ টেবিল চামচ গোটা গরম মশলা
১/২ চা চামচ গরম মশালা গুঁড়ো
৩ কাপ জল
৩০০ মিলি লি কমলা জুস
প্রণালী:
চিংড়ি ধুয়ে নিন, ল্যাজ রেখে দিন। পেঁয়াজ কেটে কড়াইতে জল গরম করুন। ফুটলে, কাটা পেঁয়াজ দিয়ে সেদ্ধ করুন। সেদ্ধ পেঁয়াজ জল ঝরিয়ে ঠান্ডা করুন। ব্লেন্ডারে সেদ্ধ পেঁয়াজ, ১ চা চামচ আদা বাটা দিয়ে এক বার ঘুরিয়ে নিন।
হামানদিসতেতে গোটা গরম মশালা থেঁতো করুন।কড়াইতে থেঁতো করা গরম মশালা দিন, ১ মিনিট নাড়ুন। সুগন্ধ বেরোলে বাটা পেঁয়াজ-আদা দিন, কাঁচা গন্ধ চলে যাওয়া অবধি নাড়ুন।
এর পরে ২ কাঁচা লঙ্কা চিরে ওর মধ্যে দিন। কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো দিন, ২ টেবিল চামচ জল দিন, আবার নাড়ুন।
এ বার কমলা লেবুর রস, কিশমিশ দিন, নুন, চিনি দিয়ে ভালো করে নেড়ে বাকি আদা বাটা ২ টেবিল চামচে গুলে দিয়ে ফুটতে দিন ২-৩ মিনিট, উপরে গরম মশালা গুঁড়ো ছড়িয়ে নামান।