বিরিয়ানি থাকলে যেমন পাশে অন্য খাবার না থাকলেও চলে। ফোড়নিশা ভাতও তেমনি। শুধু তফাত এই যে এটি নিরামিষ। আর এটি বানাতে বিরিয়ানির মতো ঘণ্টা দু’য়েক সময় লাগে না। এর জন্য দু’মিনিটই যথেষ্ট।
হাতের কাছে কিছু মশলাপাতি থাকলে মুহূর্তের মধ্যেই সাধারণ ভাত হয়ে উঠতে পারে স্বাদে-গন্ধে ভরপুর এক অপূর্ব ব্যাঞ্জন। যার সঙ্গে অন্য কোনও স্বাদের সঙ্গতের দরকার নেই। খাবার থালায় একাই একশো হতে পারে এই মরাঠি রান্না। চাইলে ফ্রিজে রাখা আগের দিনের ভাতকেও এ ভাবে সুস্বাদু বানিয়ে নিতে পারেন।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ: ২ কাপ ভাত
১ টেবিল চামচ চিনেবাদাম বা ভাঙা কাজু
১/৪ চা চামচ সর্ষে দানা
১/৪ চা চামচ গোটা জিরে
১টি শুকনো লঙ্কা
২টি কাঁচালঙ্কা চেরা
১ চা চামচ আদাকুচি
২টি রসুনের কোয়া কুচোনো
১০-১৫ টি কারিপাতা
১/৪ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
১টি মাঝারি মাপের পেঁয়াজ মিহি করে কুচোনো
১/২ চা চামচ হলুদগুঁড়ো
১ টেবিল চামচ লেবুর রস
২ টেবিল চামচ ঘি
স্বাদমতো নুন
প্রয়োজনমতো চিনি
প্রণালী: কড়াইয়ে ১ টেবিল চামচ ঘি গরম করে বাদাম হালকা ভেজে নিয়ে তুলে নিন।
এ বার ওই ঘিয়ের সঙ্গে আরও এক টেবিল চামচ ঘি দিয়ে গরম হলে তাতে একে একে দিন শুকনো লঙ্কা, সর্ষের দানা, গোটা জিরে, আদাকুচি, রসুনকুচি, কাঁচালঙ্কা এবং কারিপাতা।
সুগন্ধ বেরোলে এর মধ্যে দিয়ে দিন মিহি করে কুচনো পেঁয়াজ। পেঁয়াজের রং স্বচ্ছ হলে তাতে দিন নুন, হলুদ এবং প্রয়োজনমতো চিনি।
খানিক ক্ষণ এই মশলাটি নাড়াচাড়া করার পরে এর মধ্যে দিয়ে দিন ভাত এবং ভেজে রাখা বাদাম।
হালকা হাতে মশলার সঙ্গে ভাত মেশানো হয়ে গেলে উপরে ছড়িয়ে লেবুর রস এবং ধনেপাতা কুচি। দু’-এক বার নাড়িয়ে চাড়িয়ে আঁচ বন্ধ করে ঢাকা দিয়ে রাখুন।
গরম গরম পরিবেশন করুন। এর সঙ্গে দই, আচার, ডাল— সবই ভাল লাগবে। আপনি চাইলে এই ভাতের সঙ্গে পছন্দ মতো সব্জিও ভেজে মেশাতে পারেন।