টক-ঝাল-মিষ্টি প্রন।
এক সময়ে পুরনো কলকাতায় বাড়িতে বন্ধুদের আড্ডা মানেই চিলেকোঠাকে বোঝাত। এখন কলকাতাও আর পুরনো নেই, তাই তার শরীর থেকে খসিয়ে দিয়েছে চিলেকোঠাও। ছাদের উপরে দাঁড়িয়ে থাকা এই ওপর তলার ঘরের জানলা দিয়ে দেখা যেত খসে পড়া দেওয়াল, এঁদো গলি, আর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বাড়ি। কিন্তু এখন কলকাতা সেজে থাকে বহু বহুতলে। কিন্তু তা বলে মন থেকে কি আর বাঙালিয়ানা হারিয়ে যায়! বাঙালি মনে, প্রাণে ও পেটে বাঙালিই থাকবে।
তাই এই হালের কলকাতায় ফিরে এসেছে চিলেকোঠা। সেখানে গিয়ে বসলে পুরনো কলকাতাকে যেমন দেখা যায়, তেমনই চোখে পড়ে কাঠের ঘোরানো সিঁড়ি। তবে এ অন্দরসাজ এর রেস্তরাঁর। পুরনো বাঙালিয়ানাকে উজ্জীবিত করতে ডোভার লেনের রেস্তোরাঁ চিলেকোঠায় হারিয়ে যাওয়া বাঙালি খাবারকে ফিরিয়ে এনেছে।
বাংলাদেশের বহু খাবার আছে, যার সঙ্গে বাঙালি এখনও সে ভাবে পরিচিত নয়। ঢাকাই বিরিয়ানি বা ইলিশ বিরিয়ানি খেলেও অন্যান্য খাবার কলকাতার বাঙালিদের নাগালের বাইরেই থেকে গিয়েছে। অথচ বড়িশাল, চট্টগ্রাম, মাদারিপুর, খুলনা-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে বাহারি রান্না। এই ধরনের খাবারগুলিই চিলেকোঠার মেনুতে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: কলকাতার বুকে দুর্দান্ত বাঙালিখানার নতুন সন্ধান ‘চিলেকোঠা’, এদের বিশেষত্ব জানেন?
তবে শুধু তা-ই নয়, ‘চিলেকোঠা’-র হাত ধরে আপনিও স্বাদকোরকে আনতে পারেন ফিউশনের ছোঁয়া। বাঙালি রান্নাকে ফিউশনে ডোবাতে গিয়ে যাঁরা ফেল করেন, চিলেকোঠা তাঁদের দলে নয়। বরং ফিউশনে তাদের হাতযশ মারাত্মক। এই নববর্ষে এমনই এক ফিউশন পদ তারা যোগ করেছে নিজেদের মেনুতে।
চিলেকোঠার অন্দরমহল।
টক-ঝাল-মিষ্টি প্রন
উপকরণ
অলিভ অয়েল
কালো জিরে ফোড়ন: এক চিমটি
রসুন কুচি: ৫০ গ্রাম
আদা কুচি: ৫০ গ্রাম
পেঁয়াজ কুচি: ৫০ গ্রাম
চিলি ফ্লেক্স পরিমাণ মত
টম্যাটো পিউরি: ৫০ গ্রাম
গুড়: ৫০ গ্রাম
নুন: স্বাদ মত
মরিচ: পরিমাণ মত
লেবুর রস: ২ চা চামচ
হলুদ ক্যাপসিকাম (বেলপেপার): ৫০ গ্রাম
লাল লঙ্কার টুকরো: ২০ গ্রাম
চিংড়ি: ৫০০ গ্রাম
আরও পড়ুন: গরমের দুপুরে অতিথিকে খাওয়ান চিংড়ির এই বাহারি ডিশ
প্রণালী
প্রথমে কড়াইতে অলিভ অয়েল দিয়ে তেল গরম করে নিন। তার মধ্যে অল্প একটু পাঁচফোড়ন দিয়ে দিন। একে একে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, আদা কুচি, টম্যাটো পিউরি, চিলি ফ্লেক্স, লাল লঙ্কার টুকরো, জলে গোলা গুড়, হলুদ ক্যাপসিকাম, লেবুর রস ও শেষে চিংড়ি দিন। এ বার এগুলিকে ভাল করে টস করতে থাকুন, যখন পুরোপুরি টস করা হয়ে যাবে তখন কড়াইটি ঢাকনা দিয়ে চাপা দিয়ে দিন, যতক্ষণ না চিংড়িগুলি ভাল করে রান্না হচ্ছে। কিছুক্ষন পরে ঢাকনা সরিয়ে আবার চিংড়িগুলিকে উল্টে দিন অন্য দিকে এবং ভাল করে নাড়িয়ে নিয়ে ঢাকনাটি চাপা দিয়ে দিন। এ ভাবে ১০ মিনিট হয়ে গেলে তৈরি হয়ে যাবে আপনার টক-ঝাল-মিষ্টি প্রন।
৭/২বি, ডোভার লেনের এই রেস্তরাঁ খোলা থাকে বেলা ১২ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত। দু’জন খেতে খরচ পড়বে কর-সহ ১২০০ টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy