শুধু খেতে ভাল লাগে বলে নয়, শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, প্রোটিন এবং খনিজের ঘাটতি পূরণ করতে টাটকা শাকসব্জি খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। যে মরসুমে যা শাক পাওয়া যায়, সেই সব নিয়মিত খেতে পারলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা যায়। প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর মেথি শাক। সকালে খালি পেটে মেথি ভেজানো জল খান অনেকে। তবে রোজের পাতে যদি মেথি শাক রাখতে পারেন, তা হলে ওজন কমানো তো বটেই, আরও হাজারটা সমস্যার সমাধান হবে।
মেথি শাকে থাকা আয়রন ও ভিটামিন রক্তাল্পতার সমস্যা দূর করে। মেথি শাক খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে আছে ফলিক অ্যাসিড, রাইবোফ্ল্যাভিন, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ়ের গুণ। সঙ্গে ভিটামিন এ, বি৬, সি, কে-ও রয়েছে। ফলে মেথি শাক খেলে হাড় মজবুত হয়, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। মেথি ত্বক ও চুলের পুষ্টি জোগায়। মেথি শাক খেলে শরীরে প্রদাহও কমে।
গুণের শেষ নেই, তবে মেথি শাক রান্না করলে স্বাদে সামান্য হলেও তেতো লাগে, তাই অনেকেই এই শাক খেতে পছন্দ করেন না। মেথির গুণাগুণ পাওয়ার জন্য শাক দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন পরোটা। পরোটা শুনলেই মনে হতে পারে বিষয়টি বেশ অস্বাস্থ্যকর। পরোটা খেলেই ওজন বাড়বে, এমন ধারণা অনেকেই রাখেন। জেনে নিন, কী ভাবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে বানাবেন মেথির পরোটা।
১) গমের আটা কিংবা ময়দা দিয়ে মেথির পরোটা বানালে চলবে না। রোগা হতে গেলে ডায়েটে বেশি করে ফাইবার রাখা জরুরি। মেথি শাকে ফাইবার তো থাকেই তবে পরোটা বানানোর সময় জোয়ারের আটা, বাজরার আটা আর ওট্সের গুঁড়ো মিশিয়ে ব্যবহার করলে পরোটায় ফাইবারের পরিমাণ কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।
২) শুধু মেথি নয়, পালং শাক, গাজরও ব্যবহার করুন পরোটায়। এতে স্বাদ বাড়বে এবং বাড়বে ভিটামিনের মাত্রাও।
৩) পরোটার আটা মাখার সময় তেল ব্যবহার করবেন না। আটার মণ্ডটি নরম করার জন্য টক দই ব্যবহার করুন। এতে স্বাদও বাড়বে আর পেটের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।
৪) পরোটা সেঁকার সময় তেল ব্যবহার না করে অল্প মাত্রায় দেশি ঘিয়ের ব্যবহার করতে পারেন। ঘিয়ে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে, যা শরীরের জন্য ভাল।
৫) পরোটায় মেথি শাকের সঙ্গে ধনেপাতা ব্যবহার করুন, এতে স্বাদের সঙ্গে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মাত্রাও বাড়বে।