হেলে আরসেনোয়াক্স। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
দুরারোগ্য হাড়ের ক্যানসারে কাবু হয়ে পড়ার ১৯ বছরের মাথায় মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছেন হেলে আরসেনোয়াক্স। মাত্র ২৯ বছর বয়সে। এর আগে এত কম বয়সে আমেরিকার আর কেউই যাননি মহাকাশে। সোমবার হেলে নিজেই দিয়েছেন এই সুখবর।
হেলে আর কয়েক মাসের মধ্যে চড়বেন স্পেস-এক্সের মহাকাশযানে। পৃথিবীর একের পর এক কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করতে। তাঁর সঙ্গী হবেন বিশিষ্ট উদ্যোগপতি জারেড আইজ্যাকম্যান ও আরও দু’জন।
হেল-সহ ৪ জনকে দিয়েই প্রথম ব্যক্তিগত মহাকাশ ভ্রমণ অভিযান শুরু করতে চলেছে এলন মাস্কের স্পেস-এক্স। ৪ জনকেই মহাকাশে যেতে হচ্ছে নিজেদের গাঁটের কড়ি খরচ করে।
মাত্র ১০ বছর বয়সে হাঁটুতে ক্যানসার হয়েছিল টেনেসির বাসিন্দা হেলের। দীর্ঘ দিন ধরে তাঁর চিকিৎসা হয়েছিল মেম্ফিসের সেন্ট জুড চিলড্রেন্স রিসার্চ হসপিটালে। অস্ত্রোপচার করে বাদ দিতে হয়েছিল হাঁটু। অন্য জনের হাঁটু জুড়তে হয়েছিল তাঁর শরীরে। বাঁ দিকের থাইয়ে বসাতে হয়েছিল টাইটানিয়াম ধাতু দিয়ে বানানো র়ড। এই হাসপাতালেই এখন মেডিক্যাল অ্যাসিস্টান্টের কাজ করেন হেলে।
হেলে বলেছেন, ‘‘এখনও আমার বাঁ দিকের থাই আর হাঁটুতে খুব যন্ত্রণা হয়। আমি সেই যন্ত্রণা সহ্য করতে করতেই মহাকাশে যাওয়ার মতো ঝুঁকি ও ধকল নিতে শিখে গিয়েছি।’’ জানিয়েছেন, অল্প বয়সে যাঁরা দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত, এই মহাকাশ ভ্রমণের মাধ্যমে তিনি তাঁদেরও আশার আলো দেখাতে চান।
স্পেস-এক্সের তরফে জানানো হয়েছে মহাকাশে গিয়ে হেল তাঁর সফরসঙ্গী বাকি তিন জনের মেডিক্যাল অফিসার হিসাবে কাজ করবেন।
‘‘নির্বাচিত হয়েছেন’’, এ কথা জানিয়ে জানুয়ারিতে হেলের কাছে ফোন এসেছিল স্পেস-এক্সের তরফে। হেল তখন ছিলেন মেম্ফিসে। জানতে চাওয়া হয়েছিল ‘‘আপনি কি যেতে চান মহাকাশে?’’ হেল সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিয়েছিলেন, ‘‘হ্যাঁ, হ্যাঁ। কেন নয়? আমি উদগ্রীব হয়ে রয়েছি মহাকাশে যাওয়ার জন্য।’’
হেলে জানিয়েছেন, ওই ফোন পাওয়ার পরেই সুখবরটি প্রথম দিয়েছিলেন লুইজিয়ানায় তাঁর মা-কে। তার পর ফোন করে খবরটি দিয়েছিলেন তাঁর ভাই ও দুই অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার জামাইবাবুকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy