আক্রান্ত হয়েছে শতাধিক শিম্পাঞ্জি।
করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই বাড়ছে নতুন ব্যাকটেরিয়া থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা। আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলের দেশ সিয়ারা লিয়োনি-তে বিজ্ঞানীরা হালে এমন ভয়ঙ্কর এক ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেয়েছেন, যা আরও এক মহামারির সূচনা করতে পারে। যদিও এখনও পর্যন্ত শিম্পাঞ্জিরাই এই ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে। কিন্তু মানুষের শরীরেও এর সংক্রমণ হতে পারে বলে জানাচ্ছেন সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞরা।
হালে সিয়ারা লিয়োনি-র বেশ কিছু শিম্পাঞ্জি একসঙ্গে প্রাণ হারানোর পরেই সন্দেহ হয় চিকিৎসকদের। পরীক্ষা করে জানা যায়, অজানা এক ব্যাকটেরিয়ার কারণে ৫০-এর বেশি শিম্পাঞ্জি প্রাণ হারিয়েছে। তাদের শরীরে অন্ত্রের সমস্যার লক্ষণ স্পষ্ট। এ ছাড়া স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যার লক্ষণও রয়েছে। অজানা ব্যাকটেরিয়ার কারণে এর আগে এই এলাকায় বেশ কিছু শিম্পাঞ্জির মৃত্যু হলেও, এত ভয়াবহ আকার তা কখনও ধারণ করেনি।
কিন্তু শিম্পাঞ্জির শরীরের ব্যাকটেরিয়া কি মানুষের শরীরেও সংক্রমিত হতে পারে? সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যেহেতু মানুষ এবং শিম্পাঞ্জির জিনের গড়ন প্রায় ৯৮ শতাংশ এক রকম, তাই এই অজানা ব্যাকটেরিয়ার পক্ষে মানুষকে কাবু করে ফেলা মোটেই অসম্ভব কিছু নয়। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকদের এই বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে।
কী হতে পারে এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে? চিকিৎসকরা বলছেন, গোড়াতেই স্নায়ুর সমস্যা দেখা গিয়েছে শিম্পাঞ্জিদের মধ্যে। তারপর ডায়েরিয়া এবং তার সঙ্গে পরিপাকজনিত সমস্যা। শেষ পর্যন্ত এই সমস্ত শিম্পাঞ্জিই ডায়েরিয়াতেই প্রাণ হারিয়েছে বলে তাঁদের অনুমান। আন্তর্জাতিক একটি গবেষক দল ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে সিয়ারা লিয়োনি-র এই এলাকায়। তাঁদের ধারণা, এর পিছেন সারসিনা গোত্রভূক্ত ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা রয়েছে। গবেষকদের দাবি, সারসিনা গোত্রের ব্যাকটেরিয়ার কোনও কোনওটা মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। এই অজানা ব্যাকটেরিয়াও সে রকমই একটি বলে তাঁদের সন্দেহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy