বাংলাকে টানলেন অনুষ্টুপ। রঞ্জি সেমিফাইনালে সেঞ্চুরির পরে।
ইডেন গার্ডেন্সে বাংলার ত্রাতা হয়ে ধরা দিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। দলের ভাঙনের মুখে ব্যাট হাতে রুখে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। অনুষ্টুপের ব্যাটিং দাপটেই রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে প্রথম দিনের শেষে বাংলা করল ৯ উইকেটে ২৭৫ রান। দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন অনুষ্টুপ (১২০) ও ঈশান পোড়েল (০)।
শনিবারে রঞ্জি সেমিফাইনালে অনেক আগেই গুটিয়ে যেতে পারত বাংলা। এ দিন টস জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠান কর্নাটকের ক্যাপ্টেন করুণ নায়ার। শুরু থেকেই উইকেট পড়তে থাকে বাংলার। খাতা না খুলেই ফিরে যান ওপেনার অভিষেক রমন (০)।
অধিনায়ক অভিমন্যু ইশ্বরন ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি। কেকেআর-খ্যাত প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ফেরান বাংলার অধিনায়ককে। সকালের সেশনে কর্নাটক বোলারদের আক্রমণে ভেঙে পড়ে বাংলার মিডল অর্ডার। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (২০), অর্ণব নন্দী (১৭), অভিজ্ঞ মনোজ তিওয়ারি (৮), শ্রীবৎস গোস্বামী (০) রান পাননি। ৬৭ রানে ছ’ উইকেট খুইয়ে বাংলা তখন ধুঁকছে। এই অবস্থা থেকে বাংলার ইনিংসকে গড়ার কাজ করেন অনুষ্টুপ ও শাহবাজ আহমেদ।
আরও পড়ুন: ‘ঠিক ভোর ৪টে ১৪ মিনিটে প্রেম নিবেদন করেছিল’, পূজার ভুল ধরিয়ে সৌম্য বললেন...
কোয়ার্টার ফাইনালেও অবিকল একই চিত্রনাট্য ছিল। ওড়িশার বিরুদ্ধে একের পর এক বাংলা ব্যাটসম্যান ফিরে যাওয়ার পরে ইনিংসের হাল ধরেছিলেন অনুষ্টুপ ও শাহবাজ। সেঞ্চুরি করে অনুষ্টুপ বাংলাকে নিয়ে গিয়েছিলেন ভদ্রস্থ জায়গায়। এ দিনও দলের দরকারের সময়ে জ্বলে উঠলেন অনুষ্টুপ ও শাহবাজ। এই দু’ জন সপ্তম উইকেটে ৭২ রান জোড়েন। পাল্টা মারের খেলা শুরু করেন অনুষ্টুপ।
এর মধ্যেই শাহবাজকে (৩৫) বোল্ড করেন মিঠুন। অন্য প্রান্ত থেকে উইকেট পড়লেও লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন অনুষ্টুপ। আকাশদীপের সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ১০৩ রান জোড়েন তিনি। গৌতমের বলে ৪৪ রানে এলবিডব্লিউ হন আকাশদীপ। লড়াই জারি রাখেন অনুষ্টুপ। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৯৯ থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছন অনুষ্টুপ। ১৭৩ বলে তাঁর দুরন্ত ১২০ রানের ইনিংসে সাজানো ১৮টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা। খাদের কিনারা থেকে বাংলাকে টেনে তুলল অনুষ্টুপের চওড়া ব্যাট।
আরও পড়ুন: ফের ব্যর্থ ‘প্রতিভাবান’ ঋষভ, আর কতদিন বোঝা বইবে দল, প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy