ভারতের বোলিং বিভাগকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শ্রীনাথ।
বিরাট কোহালির ফাস্ট বোলাররা এখন ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিচ্ছেন। কিন্তু তিনি যখন খেলতেন, তখন ফাস্ট বোলারদের ভূমিকা ছিল না বললেই চলে।
ভারতের স্পিনাররাই ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করতেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এক জন মাত্র ফাস্ট বোলার নিয়ে খেলতে নামত ভারত। ফাস্ট বোলারকে ‘নাম কা ওয়াস্তে’ বল দেওয়া হত। এ সব দেখে শুনে জাভাগল শ্রীনাথ বুঝতেই পারতেন না তাঁর ভূমিকা ঠিক কী।
একটি ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্রীনাথ তাঁর কেরিয়ারের গোড়ার দিকের কথা বলেছেন, ‘‘আমি অভিযোগ করছি না। কিন্তু সেই সময়ে পরিস্থিতি এ রকমই ছিল। এমনও সময় গিয়েছে ভারত মাত্র এক জন ফাস্ট বোলার নিয়ে খেলেছে। ফাস্ট বোলারকে খেলাতে হবে তাই খেলানো হচ্ছে। এ রকমও দিন গিয়েছে। আমার কেরিয়ারের গোড়ার দিকে দেশের মাঠের পিচও থাকত স্পিনার সহায়ক।’’
আরও পড়ুন: বুমরা-শামিদের পেস আক্রমণকে সর্বকালের সেরা বললেন দ্রাবিড়
শ্রীনাথের কেরিয়ারের গোড়ার দিকে ভারত তিন জন স্পিনার নিয়ে খেলতে নামত। নতুন বল হাতে শুরু করতেন শ্রীনাথ। সেটাও বলের পালিশ চটানোর জন্য। তার পরেই স্পিনাররা হাত ঘোরাতে শুরু করতেন। শ্রীনাথ বলছেন, ‘‘বোলিংয়ের মোট ৮০-৯০ শতাংশই করত স্পিনাররা। আমি নিজেও বুঝতে পারতাম না আমার কী ভূমিকা। ক্যাপ্টেনের কাছে গিয়ে আমি বল চাইতাম।’’
১৯৯১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট কেরিয়ার শুরু হয়েছিল শ্রীনাথের। ওয়ানডে-তে তাঁর শিকার সংখ্যা ৩১৫টি। ৬৭টি টেস্ট থেকে শ্রীনাথের উইকেট সংখ্যা ২৩৬। কেরিয়ারে বেশির ভাগ সময়ে দেশের মাটিতে পাটা উইকেটে বল করতে হয়েছিল শ্রীনাথকে। তিনি বলছেন, ‘‘ভারতের কন্ডিশন স্পিনার সহায়ক। আবার এই উইকেটে পরের দিকে রিভার্স সুইং ভাল পাওয়া যায়। তবে আমি নিরাশ হইনি। আমি বুঝতে পেরেছিলাম জয়টাই গুরুত্বপূর্ণ।’’
সময় এখন বদলে গিয়েছে। ভারতীয় পেসাররা এখন দেশে বিদেশের মাটিতে আগুন জ্বালাচ্ছেন। দেশকে জেতানোর পারফরম্যান্স তুলে ধরছেন। এই দৃশ্য দেখে শ্রীনাথেরও নিশ্চয় ভালই লাগছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy