Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Australia vs New Zealand

স্টিভ ওয়ার স্কুল থেকে পাস করা ভারতীয় কৃষকের ছেলে তনবীর সাঙ্ঘাই নতুন শেন ওয়ার্ন

অনন্য নজির গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কৃষক পরিবারের ছেলে তনবীর সাঙ্ঘা। এই তরুণ লেগ স্পিনার দ্বিতীয় ভারতীয়, যিনি ‘ব্যাগি গ্রিন’ টুপি মাথায় চাপাবেন।

ভাল পারফরম্যান্সের সুবাদে জাতীয় দলে সুযোগ পেলেন নতুন 'শেন ওয়ার্ন' তনবীর সাঙ্ঘা। ফাইল চিত্র।

ভাল পারফরম্যান্সের সুবাদে জাতীয় দলে সুযোগ পেলেন নতুন 'শেন ওয়ার্ন' তনবীর সাঙ্ঘা। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:৪৬
Share: Save:

এ বার স্বপ্ন পূরণের পালা। অস্ট্রেলিয়া দলে জায়গা করে অনন্য নজির গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কৃষক পরিবারের ছেলে তনবীর সাঙ্ঘা। তাও আবার মাত্র ১৯ বছরের বয়সে। লেগ স্পিনার তনবীর হলেন দ্বিতীয় ভারতীয়, যিনি ‘ব্যাগি গ্রিন’ টুপি মাথায় চাপাবেন। চলতি বিগ ব্যাশ লিগে সিডনি থান্ডারের হয়ে খেলেছেন তনবীর। আবির্ভাবেই ২১টি উইকেট নিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়ে গিয়েছেন। ছাপিয়ে গিয়েছেন রশিদ খান ও অ্যাডাম জাম্পাকেও। শুধু তাই নয়, অ্যারন ফিঞ্চ, পিটার হ্যান্ডসকোম্ব ও ক্রিস লিনের মতো দাপুটে ব্যাটসম্যান রয়েছেন তাঁর উইকেট তালিকায়।

এর আগে প্রথম ভারতীয় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছিলেন গুরিন্দর সাঁন্ধু। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নিউজিল্যান্ড সফরে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই অজি দলে নাম লেখালেন ভারতীয় কৃষক জোগা সিংহ সাঙ্ঘার ছেলে তনবীর। কিউয়িদের বিরুদ্ধে ৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে অজিরা। ১৮ জনের দলে সুযোগ পাওয়ার পর স্বভাবতই আপ্লুত এই তরুণ। বলছিলেন, “ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তরফ থেকে ফোন পাওয়ার পর থেকেই যেন শূন্যে ভাসছি। এত কম বয়সে জাতীয় দলের সদস্য হতে পারব সেটা স্বপ্নেও ভাবিনি। তবে এবার সুযোগ পেলে পারফর্ম করার পালা।”

১৯৯৭ সালে তনবীরের বাবা জোগা সিংহ সাঙ্ঘা জালন্ধর থেকে সিডনি পাড়ি দেন। ছাত্র-ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া চলে আসার পরেও নিজের পুরনো পেশা ভোলেননি। তবে ছেলেকে খেলোয়াড় তৈরি করার জন্য ট্যাক্সি চালানো শুরু করেন। যে পেশায় তিনি এখনও যুক্ত। ওঁর মা উপনীত কৌর আবার একটি বেসরকারি সংস্থার হিসাবরক্ষক। ছেলের ক্রিকেট উত্তরণ নিয়ে জোগা বলছিলেন, “ছোটবেলা থেকেই খেলতে ভালবাসত। ভলিবল, কবাডি, রাগবির মতো খেলায় ওস্তাদ ছিল তনবীর। তবে ক্রিকেটের প্রতি ওর ঝোঁক বাড়ে ১০-১২ বছর বয়সে। সেটা লক্ষ্য করার পর স্থানীয় ইস্ট হিল বয়েজ স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলাম।” কাকতলীয় ঘটনা হল সিডনির এই স্কুলেই পড়াশোনা করতেন স্টিভ ওয়া ও মার্ক ওয়া।

ছোট থেকে শেন ওয়ার্নের অন্ধ ভক্ত ছিলেন। তবে তনবীরের ক্রিকেটে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদ ইয়ান থর্প। ২০১২ সালে ওঁকে একটি ক্লাব ম্যাচে দেখার পর পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার ফওয়াদ আহমেদের কাছে নিয়ে যান ইয়ান থর্প। এরপর অনূর্ধ্ব-১৬ স্তর থেকে ‘মেন্টর’ ফওয়াদ আহমেদের হাত ধরে তনবীরের যাত্রা শুরু। তবে শুধু লেগ স্পিন নয়। তনবীরের ব্যাটের হাতও বেশ ভাল। এমনটাই জানালেন জোগা সিংহ সাঙ্ঘা। শেষে যোগ করলেন, “ছেলেটা আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করে। গত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে পাঁচবার ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিল। তাই ও সুযোগ পেলে জাতীয় দলের সম্পদ হয়ে উঠতে পারে।” গত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়েছিলেন তনবীর। ৬ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়েছিলেন এই তরুণ লেগ স্পিনার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE