ফাইল চিত্র।
ব্যাঙ্ক দেউলিয়া ঘোষণা করার পরেও নিজের সম্পত্তি হস্তান্তরিত করেননি বরিস বেকার। কিংবদন্তি টেনিস তারকার এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডে বিচার চলছে। বেকার আদালতে জানিয়েছেন, অবসর নেওয়ার পরে একাধিক কারণে তিনি আর্থিক সঙ্কটে পড়েন। যার একটি বড় কারণ বিবাহবিচ্ছেদের জন্য বিপুল পরিমাণ খরচ হওয়া। তাই টেনিস খেলে যা উপার্জন করেছিলেন, তার সিংহভাগ তিনি খোয়ান। প্রচুর ঋণও নিতে হয়, যা শোধ করতে পারেননি।
বেকারের বয়স এখন ৫৪। তিনি জানিয়েছেন, অবসরের পরে তাঁকে নিয়ে নানা রকম নেতিবাচক প্রচার হয়েছিল। যে কারণে ঋণ শোধ করার মতো অর্থ উপার্জন করতে পারেননি। আরও জানিয়েছেন, বৈবাহিক প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে উইম্বলডনে তিনি যে বাড়ি নিয়েছিলেন তার ভাড়াই ছিল মাসে ২১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৪৪০ টাকা। সেইসঙ্গে প্রাক্তন স্ত্রী বার্বারাকে বিচ্ছেদের পরে তাঁদের দুই সন্তানের খরচ চালানোর জন্যও ভাল অঙ্কের অর্থ দিতে হত। এবং মেয়ে আনা ও তাঁর মা’কে দিতে হয়েছিল লন্ডনে প্রায় ২৫ কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট।
বেকারকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয় ২০১৭ সালের জুনে। তাঁর বিরুদ্ধে ২৪টি অভিযোগ সংবলিত মামলা চলছে। যার একটা যেমন টেনিস খেলে পাওয়া ট্রফি ও পুরস্কারগুলি হস্তান্তরিত না করা। এর মধ্যে অলিম্পিক্সে জেতা সোনার পদকও রয়েছে। বেকার দেউলিয়া হওয়ার পরে তাঁর অন্য অনেক সম্পত্তির কথাও জানাননি। গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী প্রাক্তন টেনিস তারকার বক্তব্য, ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ায় বেশির ভাগ কোম্পানিই তাঁর সঙ্গে চুক্তি প্রলম্বিত করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy