বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার ওয়ার্নার। ছবি: এএফপি
তিন বছরের মধ্যে পাল্টে গেল ডেভিড ওয়ার্নারের জীবন। ২০১৮ সালে বল বিকৃতি কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। নির্বাসিত হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার দল থেকে। কলঙ্কিত হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, কলঙ্কিত হয়েছিলেন তিনি। সেই ওয়ার্নার ফিরলেন, বিশ্ব মঞ্চে নিজের নাম খোদাই করে দিয়ে গেলেন।
বয়স ৩৫। আইপিএল-এর মঞ্চে অধিনায়কত্ব হারিয়েছিলেন, বাদ গিয়েছিলেন দল থেকে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলের অধিনায়ক ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। তাঁর প্রথম একাদশ থেকেই বাদ পড়েছিলেন ওয়ার্নার। রবিবার উইলিয়ামসনের দলের বিরুদ্ধেই ৩৮ বলে ৫৩ রান করলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের মঞ্চ তৈরি করে দিলেন। টি২০ বিশ্বকাপের সেরাও হলেন তিনি।
ট্রফি নিয়ে ওয়ার্নার বললেন, “অনুশীলন ম্যাচে খুব বেশি খেলার সুযোগ পাইনি। কিন্তু আমার কাছে সব সময় গুরুত্বপূর্ণ নিজের খেলাটা খেলা। শক্ত পিচে বল মারাটাই আমার কাছে মূল লক্ষ্য। ২০১৫ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিলাম। তবে ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে যাওয়াটা কষ্টের ছিল। দলের প্রত্যেকে অসাধারণ। সাপোর্ট স্টাফ, দল, বাড়ির সমর্থন পেয়েছি। প্রত্যেকের জন্য দর্শনীয় খেলা খেলতে পেরেছি। প্রত্যেকে নিজেদের সেরাটা দিয়েছে।”
সমর্থন, এটাই তো দরকার ছিল ওয়ার্নারের। আইপিএল-এ এটাই পাননি। দেশের জার্সি পরে পাশে পেলেন অ্যারন ফিঞ্চকে। ব্যর্থ হলেও পাশে থাকলেন অজি অধিনায়ক। সেই দাম দিলেন ওয়ার্নার। ৭ ম্যাচে করলেন ২৮৯ রান। বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার বিধ্বংসী ওয়ার্নার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy