শতরান করার পরে হেলমেট খুলে উচ্ছ্বাস করেননি। স্রেফ এক বার দর্শকদের দিকে ব্যাট তুলে অভিবাদন গ্রহণ করলেন। আউট হওয়ার পরেও ক্ষুব্ধ দেখাল না। ম্যাচের পরেও খুব স্বাভাবিক আচরণ। দেখে কে বলবে ব্যাটে রানের খরা কাটিয়ে দীর্ঘ দিন পরে শতরান করেছেন! কটকে সিরিজ় জেতার পর রোহিত শর্মাকে এ ভাবেই দেখা গেল। ম্যাচের পর বুঝিয়ে দিলেন, রান না পাওয়া নিয়ে একেবারেই চিন্তিত ছিলেন না।
সঞ্চালক দীপ দাশগুপ্তকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোহিত বললেন, “ভাল লাগছে ক্রিজ়ে অনেকটা সময় কাটিয়ে দলের জন্য রান করতে পেরে। সিরিজ় জয়ের হাতছানি থাকায় ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”
রান পেয়ে অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস না দেখালেও রোহিত সাফল্যের কারণ ব্যাখ্যা করতে ভোলেননি। তাঁর কথায়, “কী ভাবে ব্যাট করব সেটাকে কয়েক ভাগে ভাগ করে নিয়েছিলাম। এই ফরম্যাটটা টি-টোয়েন্টির থেকে বড় এবং টেস্টের থেকে অনেক ছোট। তবু পরিবেশকে বুঝে নিয়ে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করতে হয়। চেয়েছিলাম মনঃসংযোগ ধরে রেখে যতটা বেশি সময় সম্ভব ব্যাট করতে।”
রোহিতের মতে, কালো মাটির পিচে ব্যাট করা সহজ কাজ নয়। কারণ এই পিচে বল পড়ে মাঝেমাঝেই পিছলে ব্যাটে আসে। কী ভাবে সামলেছিলেন সেটা? রোহিতের উত্তর, “ব্যাটের মাঝখান দিয়ে শট খেলা গুরুত্বপূর্ণ। ওরা চাইছিল আমার শরীর লক্ষ্য করে বল করতে। শট খেলার জায়গা দিতে চাইছিল। আমি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাট করে চেষ্টা করেছি ফিল্ডিংয়ের কাজ খুঁজে বার করার। সফলও হয়েছি।”
তিনশোর উপর রান তাড়া করতে নেমে ভারতকে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে ওপেনিং জুটির সাফল্য। সহ-ওপেনার শুভমন গিলের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রোহিত। বলেছেন, “আমরা একে অপরের সঙ্গে ব্যাট করা উপভোগ করি। গিল দুর্দান্ত ক্রিকেটার। খুব কাছ থেকে ওকে দেখেছি। কখনওই কোনও পরিস্থিতিতে চাপে পড়ে না। আপনারা ওর পরিসংখ্যান দেখলেই বুঝবেন।”
আরও পড়ুন:
এক দিনের ক্রিকেটের মাঝের দিকের ওভারের গুরুত্ব আবার স্বীকার করে নিলেন রোহিত। বলেছেন, “এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। মাঝের দিকের ওভারে যে কোনও দিকে খেলা ঘুরে যেতে পারে। মাঝের দিকের ওভারে রান কম দিলে শেষের দিকে সমস্যা হয় না। নাগপুরের পর কটকেও আমরা মাঝের দিকের ওভারে ভাল খেলেছি।”
আরও পড়ুন:
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে এই সিরিজ় জয় যে তাঁদের আত্মবিশ্বাস জোগাবে তা স্বীকার করে নিয়েছেন রোহিত। ভারতের অধিনায়কের কথায়, “দল হিসাবে আমরা রোজ উন্নতি করতে চাই। আগের ম্যাচেও একই কথা বলেছিলাম। অধিনায়ক বা কোচ কী চাইছে সে সম্পর্কে যত ক্ষণ দলের ক্রিকেটারদের স্বচ্ছ ধারণা থাকবে, তত দিন এ নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই।”