পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি হোন, বা সংযুক্ত আরব আমিরশাহির হায়দার আলি, শুরুটা একই ভাবে করেছেন অভিষেক শর্মা। প্রথম বলেই চার বা ছক্কা মেরে শুরু করেছেন তিনি। প্রথম বলেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, কী ভাবে খেলবেন তিনি। কেন প্রথম বলেই চার-ছক্কা মারেন অভিষেক, সেই রহস্য ফাঁস করেছেন তিনি নিজেই।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন অভিষেক। তাঁর ৩৭ বলে ৭৫ রানের ইনিংসে ভর করে ১৬৮ রান করেছে ভারত। বাংলাদেশকে ৪১ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছেন সূর্যকুমার যাদবেরা। এই ম্যাচে অবশ্য প্রথম বলে ছক্কা মারেননি অভিষেক। বলা ভাল, প্রথম তিন ওভার ধরে খেলেছেন তিনি। প্রথম বলে ছক্কা না মারায় দুঃখ পেয়েছেন ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মঞ্জরেকর। ম্যাচের সেরার পুরস্কার পাওয়ার পর সেই মঞ্জরেকরই প্রশ্ন করেছেন অভিষেককে।
মঞ্জরেকর জিজ্ঞাসা করেন, কেন প্রথম বলে বড় শট মারতে যান অভিষেক। জবাবে ভারতীয় ব্যাটার বলেন, “আমি আগে থেকে খুব একটা ভাবি না। ব্যাট করতে নেমে বল দেখে খেলি। আমার ব্যাটের কাছে বল পড়লে আমি বড় শট মারব। সেটা প্রথম বল হোক বা না হোক। প্রথম বলে ছক্কা মারা আমার অভ্যাস নয়।” তা হলে কেন এশিয়া কাপের তিনটি ম্যাচে বড় শট মেরে শুরু করেছেন তিনি? অভিষেক বলেন, “অনেক বোলার আছে যারা প্রথম বলেই উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি তাদের বিরুদ্ধেই প্রথম বলেই বড় শট মারার চেষ্টা করি।” অভিষেক বুঝিয়ে দিয়েছেন, সামনে শাহিন থাকাতেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দু’টি ম্যাচেই প্রথম বলে বড় শট মেরেছেন তিনি। সব ম্যাচে করবেন না।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম তিন ওভার ধরে খেলেছেন অভিষেক ও শুভমন গিল। তার নেপথ্যেও কারণ ছিল। অভিষেক বলেন, “এই উইকেটে আগে খেলা হয়নি। পিচ কেমন হবে সেটা জানতাম না। তাই আমরা ঠিক করেছিলাম, শুরুর কয়েকটা ওভার দেখে নেব। তার পর শট খেলব।”
অভিষেকের বড় গুণ ফিল্ডিং দেখে খেলা। কোথায় ফিল্ডার নেই, সেটা খেয়াল করা। ফলে অনেক ঝুঁকিহীন শট খেলতে পারেন তিনি। তার জন্য অবশ্য তাঁকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় ওপেনার। অভিষেক বলেন, “আমি ফিল্ডারদের দেখে খেলি। আগে ফিল্ডিং দেখে নিই। তার পর সেই অনুযায়ী শট খেলি। তার জন্য অনুশীলনে অনেক খাটতে হয়। অনেক বল খেলতে হয়। আপনি নেটে অনেক বল খেললে তবেই মাঠে সহজে ব্যাট করতে পারবেন।” ভারতীয় ব্যাটার বুঝিয়ে দিয়েছেন, পরিশ্রমের ফল পাচ্ছেন তিনি।