এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন সঞ্জু স্যামসন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে তিলক বর্মার সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। ২৪ রান করেন সঞ্জু। তাঁর ও তিলকের জুটিতে ভর করে খেলায় ফেরে ভারত। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে এশিয়া কাপ জেতে ভারত। ফাইনালে নিজের ইনিংস নিয়ে মুখ খুললেন সঞ্জু।
এশিয়া কাপের আগের কয়েকটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে ওপেনার হিসাবে খেলেছিলেন সঞ্জু। তিনটি শতরানও করেছিলেন। কিন্তু এশিয়া কাপে শুভমন গিল ও অভিষেক শর্মা ওপেন করায় মিডল অর্ডারে ফিরতে হয়েছে সঞ্জুকে। তাতে অবশ্য দুঃখ নেই তাঁর। এশিয়া কাপের মাঝেই ভারতীয় ক্রিকেটার জানান, দলের জন্য যে কোনও ভূমিকা পালন করতে তৈরি তিনি। দক্ষিণের অভিনেতা মোহনলালের উদাহরণ টেনে সঞ্জু জানান, সব সময় তো আর নায়কের চরিত্রে অভিনয় করা যাবে না। দলের জন্য খলনায়ক বা জোকার হতেও তিনি তৈরি।
এশিয়া কাপ জেতার পর সঞ্জুকে সেই বিষয়েই প্রশ্ন করেন বরুণ চক্রবর্তী। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “কখনও তোমাকে খলনায়ক হতে হয়, কখনও জোকার। এই ম্যাচে তোমার ভূমিকা কী ছিল?” জবাবে সঞ্জু বলেন, “এই ম্যাচে আমি একজন ধীর-স্থির ব্যাটার ছিলাম। আমাকে চাপ সামলাতে হত। ক্রিজ়ে থাকতে হত। যে কয়েক বছর খেলছি সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছি। তিলকের সঙ্গে জুটি বেঁধেছি। জানতাম ওরা উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করবে। তাই বল দেখে নিজের শট খেলার চেষ্টা করেছি।”
সঞ্জু ও বরুণ দু’জনেই দক্ষিণের। তাই বরুণ যখন বল করেন, তখন উইকেটের পিছন থেকে দক্ষিণ ভারতীয় ভাষায় কথা বলেন সঞ্জু। বাকিরা তা বুঝতেই পারেন না। বরুণ জানিয়েছেন, তাঁর বড় শক্তি সঞ্জু। ভারতীয় স্পিনার বলেন, “এই লোকটা সব সময় আমার পাশে থাকে। আমার বড় শক্তি।” সেটা শুনে সঞ্জু বলেন, “হ্যাঁ, পাশের বাড়ির সমর্থক।” তা শুনে বরুণ হেসে বলেন, “সঞ্জু মোহনলাল স্যামসন আমার বড় শক্তি।”
আরও পড়ুন:
সতীর্থেরা যে ভাবে দলকে জিতিয়েছে তাতে মুগ্ধ বরুণ। তিনি বলেন, “আমাদের পাওয়ার প্লে-র শুরুটা ভাল হয়নি। ওদের বোলারেরা একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে বল করছিল। তার পরে যে ভাবে তিলক প্রথমে সঞ্জু ও পরে শিবমের সঙ্গে জুটি বাঁধল এবং শেষে রিঙ্কুর সঙ্গে মিলে দলকে জেতাল তা দুর্দান্ত।” বরুণ জানতেন, হ্যারিসের বিরুদ্ধে রান তোলাটা সহজ। সেটাই করেছেন ভারতীয় ব্যাটারেরা। বরুণ বলেন, “আমি জানতাম হ্যারিস প্রতিটা বল মন্থর করতে পারবে না। ও গতিতে বল করতে ভালবাসে। জানতাম, যে বলটাই জোরে করবে সেটাতেই রান হবে। সেটাই হল।”
এ বারের এশিয়া কাপেও পাওয়ার প্লে-প মধ্যে বল করতে হয়েছে বরুণকে। সেই দায়িত্ব ভাল ভাবে সামলেছেন তিনি। শুরু থেকেই বরুণ জানতেন, কী করতে হবে তাঁকে। ভারতীয় স্পিনার বলেন, “ভারতের হয়ে এটাই আমার ভূমিকা। গৌতি ভাই ও সূর্য বলে দিয়েছিল, আমাকে কঠিন কাজটা করতে হবে। পাওয়ার প্লে-তে বল করতে হবে। আবার ডেথ ওভারেও করতে হবে।”