আরও কোণঠাসা মহসিন নকভি। এশিয়া কাপের ট্রফি ও ভারতীয় ক্রিকেটারদের পদক নিজের কাছে রেখে নিজেরই বিপদ বাড়িয়ে চলেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তথা এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। জানা যাচ্ছে, বৈঠকে নাকি নকভিকে একের পর এক প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে তুলেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্ল ও প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ আশিস শেলার। নকভিকে আক্রমণ করতে গিয়ে জয় শাহের উদাহরণ টেনেছেন তাঁরা।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক সূত্র ‘টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-কে এ কথা জানিয়েছে। সেই সূত্র বলেছে, “নকভির ধারণা ছিল এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসাবে তাঁরই একমাত্র ট্রফি দেওয়ার অধিকার রয়েছে। তাঁকে বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, এ রকম কোনও নিয়ম নেই। ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি শাম্মি সিলভা জয়ী শ্রীলঙ্কা দলকে ট্রফি দিয়েছিলেন। সেই সময় এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন জয় শাহ।” ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব থাকাকালীন এশীয় ক্রিকেটের মাথায় ছিলেন শাহ। আইসিসি-র চেয়ারম্যান হওয়ার আগে সেই দুই পদই ছাড়েন শাহ। তাঁর পরে এশীয় ক্রিকেটের মাথায় বসেছেন নকভি।
ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, বৈঠকে কোনও দলের সমর্থন পাননি নকভি। তাঁর ট্রফি নিয়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কোনও দেশ সমর্থন করেনি। উল্টে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কা ভারতকে সমর্থন করেছে।
আরও পড়ুন:
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের বৈঠকে প্রথমে এই ট্রফি-বিতর্ককে আলোচনার বিষয়ের মধ্যে রাখাই হয়নি। কিন্তু ভারতের দুই প্রতিনিধি শুক্ল ও শেলার বৈঠকের শেষ দিকে মুখ খোলেন। তাঁরা প্রতিবাদ করেন। দাবি জানান, যত দ্রুত সম্ভব এশিয়া কাপ ট্রফি ও ভারতীয় ক্রিকেটারদের মেডেল ফেরত দিতে হবে।
ভারতীয় বোর্ডের প্রতিবাদের পর নকভি জানান, ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে গিয়ে তাঁর কাছ থেকে ট্রফি নিতে হবে। তাতেও আপত্তি করেছে বিসিসিআই। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সূর্য তাঁর কাছ থেকে ট্রফি নেবেন না। ভারতীয় বোর্ডের প্রতিনিধিদের চাপে পড়ে নকভি জানান, অন্য বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলও সেই প্রস্তাবই দেন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, শীঘ্রই ভারতীয় বোর্ড ও নকভির মধ্যে বৈঠক হবে। সেখানে অন্য একটি দেশের বোর্ডের প্রতিনিধি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় থাকবেন। সেই বৈঠকেই ট্রফি-সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। ভারতীয় বোর্ড আশাবাদী, দ্রুত তাদের কাছে ট্রফি ফেরত দেবেন নকভি। না হলে আইসিসি-র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবে বিসিসিআই।