আইপিএলের পর ইংল্যান্ডে গিয়েও ভাল খেলছে বৈভব সূর্যবংশী। অনূর্ধ্ব-১৯ এক দিনের সিরিজ়ে বৈভবের পারফরম্যান্স নজর কেড়ে নিয়েছে। তাকে নিয়ে উন্মাদনাও বেড়ে গিয়েছে। শুধু বৈভবের সঙ্গে দেখা করবে বলে ছ’ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে উরস্টার গিয়েছে দুই খুদে সমর্থক। বৈভবের সঙ্গে ছবিও তুলেছে তারা।
রাজস্থান রয়্যালসের তরফে ছবি পোস্ট করে এ কথা জানানো হয়েছে। আনিয়া এবং রিভা নামে দুই সমর্থক বাবার সঙ্গে গিয়েছিল বৈভবের সঙ্গে দেখা করতে। দু’জনের বয়সই বৈভবের মতোই, অর্থাৎ ১৪-র আশপাশে। দু’জনের গায়েই ছিল রাজস্থানের জার্সি, যে দলে খেলে বৈভব। ছবি তোলার পাশাপাশি ভারতীয় দলের হয়েও চিৎকার করে দুই সমর্থক।
সোমবার উরস্টারে ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ম্যাচ। ওপেন করতে নেমে ৪২ বলে ৩৩ রান করে বৈভব। অন্যান্য ম্যাচে যে রকম আগ্রাসী খেলে বৈভব, সে রকম খেলেনি। বরং বেশ ধীরস্থির, শান্ত দেখায় তাকে। অতীতে ২০০-র বেশি স্ট্রাইক রেটে শতরান করেছিল বৈভব। ওই দিন তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১০০-র কম। তিনটে চার এবং দুটো ছয় মারে বৈভব। ১৫তম ওভারে সেবান্তিয়ান মর্গ্যানের বলে অ্যালেক্স গ্রিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যায়।
গোটা সিরিজ়ে অবশ্য ভাল খেলেছে বৈভব। সে-ই সিরিজ়ের সর্বোচ্চ রানশিকারি। পাঁচ ম্যাচে ৩৫৫ রান করেছে বৈভব। মেরেছে ২৯টা ছয় এবং ৩০টা চার। আর কোনও ব্যাটার ৩০০-ও পেরোতে পারেননি। বাকিদের থেকে প্রায় পাঁচ বছরের ছোট হওয়ার পরও কীর্তি গড়েছে বৈভব। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৭৪.০২। এই সিরিজ়ে মোট চার জন ব্যাটার শতরান করেছেন। বৈভবের স্কোর (১৪৩) সবার চেয়ে বেশি। ৫২ বলে শতরান করেছিল সে। যুবদের এক দিনের ক্রিকেটে যা দ্রুততম।
আরও পড়ুন:
এজবাস্টনে ভারতের খেলা দেখতে গিয়েছিল বৈভব। বলেছিল, “খুব ভাল লাগছে এসে। ইংল্যান্ডে প্রথম বার কোনও টেস্ট ম্যাচ দেখছি। কী ভাবে ম্যাচে খেলা হয় সেটা চোখের সামনে দেখার সুযোগ পেলাম। সবাই মিলে একসঙ্গে বসে ম্যাচ দেখতে পারায় আরও ভাল লাগছে।”
শুভমনের দ্বিশতরান দেখে বাকিদের পাশাপাশি মুগ্ধ বৈভবও। বলেছিল, “শুভমনের থেকে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম। ও আমাদের সকলের কাছেই আদর্শ। দেশের হয়ে লাল বলের ক্রিকেট খেলা যে কোনও ক্রিকেটারের কাছেই স্বপ্ন।”