Bengal Football: ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তাব ফিরিয়ে চেন্নাইয়িনে সই বাংলার সন্তোষ দলের অধিনায়কের

সন্তোষ ট্রফিতে খেলতে খেলতেই রাজ্য সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন। অভাবের সংসার দেখে নবান্নে বসে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কোটা থেকে তাঁকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। পেশাদার জীবনেও নতুন সাফল্য পেলেন সন্তোষ ট্রফিতে রানার্স হওয়া বাংলা দলের অধিনায়ক মনোতোষ চাকলাদার। আইএসএলের ক্লাব চেন্নাইয়িন এফসি-তে সই করলেন তিনি।

সরকারি ভাবে এখনও ঘোষণা করা হয়নি ক্লাবের তরফে। তবে আনন্দবাজার অনলাইনকে মনোতোষ জানিয়েছেন, তিন বছরের চুক্তিতে চেন্নাইয়িন এফসি-তে যোগ দিয়েছেন তিনি। বরাবরই আইএসএলের ক্লাবে খেলতে চেয়েছিলেন মনোতোষ। সেই লক্ষ্য পূরণ হওয়ায় খুশি। বলেছেন, “আইএসএলের দলের হয়ে খেলা একটা স্বপ্ন ছিল। অবশেষে তা পূরণ হতে চলেছে। অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল। আপাতত লক্ষ্য প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া।”

জানা গিয়েছে, ইস্টবেঙ্গলের তরফেও প্রস্তাব ছিল মনোতোষের কাছে। বাংলা দলকে সংবর্ধনা দেওয়ার পর ক্লাবকর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছিলেন, বাংলার ফুটবলারদের জন্য তাঁদের ক্লাবের দরজা খোলা। সেই হিসাবেই মনোতোষকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে বলা হয়, আগে কলকাতা লিগে খেলতে হবে। পারফরম্যান্সের বিচারে কোচের পছন্দ হলে তবেই আইএসএলে খেলার সুযোগ পাবেন তিনি। চেন্নাইয়িনের তরফে সরাসরি আইএসএলের প্রস্তাব থাকায় সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি মনোতোষ।

তিনি বললেন, “চেন্নাইয়িন দলে অনেক বিদেশি খেলোয়াড় রয়েছে। কোচও বিদেশি। ভারতীয় দলে খেলা অনেক ফুটবলারও রয়েছে। সবার থেকে কিছু না কিছু শেখার চেষ্টা করব। ইস্টবেঙ্গলে এর আগে থাকার সময়ে বিশ্বকাপার জনি আকোস্তা ছিল সাজঘরে। ওঁর থেকেও অনেক কিছু শিখেছি।”

রাজ্য সরকারের তরফে গত ৯ মে নিয়োগপত্র পেয়েছেন মনোতোষ। তবে কোন বিভাগে কাজ করবেন, সেটা এখনও জানেন না। কাজে যোগদানের জন্য এখনও ডাকা হয়নি তাঁকে। তবে মনোতোষের আশা, চাকরির প্রভাব খেলায় পড়বে না। বললেন, “আমাকে বলাই হয়েছে, যেখানে খুশি খেলতে পারি। তাতে কোনও সমস্যা হবে না।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।