ইকুয়েডর ম্যাচে সমালোচনার মুখে পড়েছে অফসাইডের নিয়ম। ছবি: রয়টার্স
রবিবার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ইকুয়েডরের প্রথম গোল বাতিল করা হল কেন, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। তবে কিছু দিন আগেই ফিফা জানিয়ে দিয়েছে, এ বার অফসাইডের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। ফলে অনেক বেশি নিখুঁত এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে। গত তিন বছর ধরে এই প্রযুক্তি তৈরি করেছে ফিফা।
এ বার ব্যবহৃত হচ্ছে ‘সেমি অটোমেটিক অফসাইড প্রযুক্তি’, যার সাহায্যে কঠিনতম অফসাইড সিদ্ধান্তে দ্রুততার সঙ্গে নেওয়া যাবে। ব্যবহার করা হচ্ছে ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তিও। ফিফার রেফারিদের প্রধান পিয়েরলুইগি কলিনা বলেছেন, “নিখুঁত সিদ্ধান্ত নিতে বদ্ধপরিকর আমরা। দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া মানে এই নয় যে সঙ্গে সঙ্গে কিছু বলে দেব। তবে আগে যা সময় লাগত তার থেকে সময় কমবে। তবে শেষ সিদ্ধান্ত মাঠে থাকা রেফারির।”
স্টেডিয়ামে ১২টি ক্যামেরা থাকবে, যারা প্রতিটি ফুটবলারের ২৯ রকম নড়াচড়া পরীক্ষা করবেন। বলের মধ্যেও রয়েছে সেন্সর, যেটি সেকেন্ডে ৫০০ বার তথ্য পাঠাবে ‘ভার’ কেন্দ্রে। এর আগে দু’টি ফিফা প্রতিযোগিতায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। আগের প্রযুক্তিগুলিও থাকছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন প্রযুক্তি। কলিনা জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি ৩২টি দলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, লাল কার্ড দেখানোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নিয়ম থাকছে। মুখে কনুই দিয়ে আঘাত করলে, ট্যাকলের সময় বুট দিয়ে চেপে দিলে এবং বিপজ্জনক উচ্চতায় পা তুললে সরাসরি লাল কার্ড দেখানো হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy