Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Mohun Bagan

মোহনবাগান প্রথম বার হারাল মুম্বইকে, ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে সবুজ-মেরুন

কোনও দিন পর্যন্ত মুম্বইকে হারাতে পারেনি মোহনবাগান। সেই ‘মিথ’ ভেঙে গেল রবিবার। ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে উঠে গেল সবুজ-মেরুন।

football

গোলের পর উল্লাস মোহনবাগানের ফুটবলারদের। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৩ ২০:০৩
Share: Save:

মোহনবাগান ৩ (কামিংস, মনবীর, আনোয়ার)
মুম্বই সিটি এফসি ১ (দিয়াস)

অতীতে যা কোনও দিন পারেনি, তাই করে দেখাল মোহনবাগান। প্রথম বার তারা হারাল মুম্বই সিটি এফসি-কে। রবিবার ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ৩-১ গোলে জিতল তারা। গোল করলেন জেসন কামিংস, মনবীর সিংহ এবং আনোয়ার আলি। মুম্বইয়ের গোলদাতা হর্হে দিয়াস। সেমিফাইনালে ৩১ অগস্ট এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে খেলবে মোহনবাগান।

জিতলেও রক্ষণ নিয়ে একটু চিন্তা থেকেই যাচ্ছে মোহনবাগানের। এ দিন বার বার মুম্বইয়ের ফুটবলারেরা রক্ষণের ফাঁক দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছেন। আনোয়ার আলি গোল করলেও গোল আটকানোর ক্ষেত্রে এখনও তাঁকে পরিণত হতে হবে। তাঁর ভুলে গোল হতে পারত। বাকি বিভাগগুলিতে মোহনবাগানকে নিয়ে চিন্তায় কিছু নেই। মিডফিল্ড এবং আক্রমণ ভাগে যথেষ্ট অস্ত্র রয়েছে তাদের হাতে।

ভারতীয় ফুটবলে মোহনবাগানের বড় গাঁট ছিল মুম্বই। কিন্তু রবিবার যুবভারতী স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় তারা। সাত মিনিটের মাথাতেই পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। বক্সে বল নিয়ে ঢুকে গোলকিপারকে এড়িয়ে জালে জড়াতে চেয়েছিলেন কামিংস। মুম্বইয়ের গোলকিপার ফুর্বা লাচেনপা তাঁকে অবৈধ ভাবে বাধা দেন। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দিতে সময় দেননি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন অস্ট্রেলিয়ার স্ট্রাইকার। মোহনবাগানের হয়ে তিনটি গোল হয়ে গেল তাঁর।

মুম্বই সমতা ফেরায় ২৮ মিনিটে। মোহনবাগান রক্ষণের ভুলে গোল খায়। বক্সের বাঁ দিকে নিজেদের মধ্যে পাস খেলে নেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট এবং অ্যালবার্ট নগুয়েরা। তার পর নগুয়েরা বক্সের মাঝামাঝি ক্রস ভাসান। মোহনবাগানের গোলকিপার বিশাল কাইথের হাতে লেগে বল যায় দিয়াসের কাছে। তিনি বুক দিয়ে ঠেলে বল জালে জড়িয়ে দেন।

মোহনবাগান এগিয়ে যেতে সময় নেয়নি। কর্নার পেয়েছিল তারা। মুম্বইয়ের রক্ষণ ক্লিয়ার করলেও বল যায় বাঁ দিকে থাকা হুগো বুমোসের কাছে। তিনি বক্সে বল ভাসান। অরক্ষিত অবস্থায় থাকা মনবীর হেডে গোল করেন। প্রথমার্ধের শেষের দিকে আরও কিছু সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি তারা।

দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে শুরু করে। মুম্বই মরিয়া হয়ে ওঠে গোল শোধ করার জন্যে। ৫৪ মিনিটে স্টুয়ার্ট একটি ভাল সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর শট অল্পের জন্যে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটেই পেনাল্টির আবেদন করে মুম্বই। বক্সের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল স্টুয়ার্টকে। পিছন থেকে ট্যাকল করেছিলেন আনোয়ার আলি। কিন্তু রেফারি সেই আবেদনে কর্ণপাত করেননি। উল্টে রাগ দেখানোর জন্যে স্টুয়ার্টকেই হলুদ কার্ড দেখেন। তবে অনেকের ধারণা, সেটি পেনাল্টি হতেই পারত।

তিন মিনিট পরে দারুণ সুযোগ মিস্ করে মোহনবাগান। আশিক কুরুনিয়ানের থেকে বল পেয়েছিলেন সাদিকু। সামনে ফাঁকা গোল থাকলেও সাদিকু বল বারের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন।

মোহনবাগান আবার এগিয়ে যায় ৬৩ মিনিটে। হেডে গোল করেন আনোয়ার। তবে কৃতিত্ব অনেকটাই আশিকের। মুম্বইয়ের ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বল নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন কেরলের ফুটবলার। গোললাইন পেরনোর আগেই ক্রস করেন বক্সে। পুরোপুরি ফাঁকায় দাঁড়িয়েছিলেন আনোয়ার। নিখুঁত হেডে গোলকিপারকে সুযোগ না দিয়ে গোল করেন তিনি।

বাকি সময়ে মুম্বই গোলের জন্যে মরিয়া হয়ে খেললেও খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। উল্টে মোহনবাগানের কাছে সুযোগ এসেছিল ব্যবধান বাড়ানো। সাদিকু এবং মনবীর সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান বাড়তে পারত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mohun Bagan Durand Cup Mumbai City FC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE