Advertisement
E-Paper

ডুরান্ড ফাইনালের আগে চাপমুক্ত হয়ে নামছে মোহনবাগান, কেন স্বস্তিতে কোচ ফেরান্দো?

রবিবার ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ফাইনালে নামার আগে কিছুটা স্বস্তিতে মোহনবাগান কোচ। দলের পারফরম্যান্সে তিনি খুশি। ট্রফি জেতাও লক্ষ্য তাঁর।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৩২
football

মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। — ফাইল চিত্র।

রবিবার আরও একটা কলকাতা ডার্বি। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলবে মোহনবাগান। প্রথম ডার্বির সময়ে অনেকেই মোহনবাগানকে এগিয়ে রাখলেও সে যাত্রা হেরে ফিরতে হয়েছে তাদের। শক্তিতে এগিয়ে থাকা মোহনবাগান এ বার কি পারবে ডার্বিতে আবার জয়ের রাস্তায় ফিরতে? না কি দীর্ঘ দিন পরে টানা দু’টি ডার্বি জিতবে ইস্টবেঙ্গল? ম্যাচের আগে মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দোর গলায় স্বস্তি এবং অস্বস্তি দুটোই ধরা পড়েছে। স্বস্তিতে আছেন কারণ এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে যোগ্যতা অর্জন হয়ে গিয়েছে। অস্বস্তি হল ঘন ঘন ম্যাচ।

ফাইনালে কেমন দল নামতে পারে সেই প্রশ্ন উঠতেই ফেরান্দো বলেছেন, “দল নিয়ে এখনও কথা বলার জায়গায় আসিনি। কে খেলবে, কে খেলবে না সেটার জন্যে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করব। কারা তৈরি রয়েছে সেটা এখনও বলার সময় আসেনি। সুহেল, সুমিত জাতীয় শিবিরে চলে গিয়েছে। ওদের পাচ্ছি না। বাকিদের রিকভারি হচ্ছে না। এত ঘন ঘন ম্যাচ খেলতে হচ্ছে যে তাল মেলানো মুশকিল। অনেকেই রয়েছে যারা ৫০ শতাংশ তৈরি। কিন্তু এটা নিয়ে কোনও অজুহাত দিতে চাই না।”

এর পরেই স্বস্তির সুর তাঁর মুখে। বললেন, “সত্যি কথা বলতে প্রথম ডার্বির আগে আমি এএফসি কাপ নিয়ে বেশি চিন্তিত ছিলাম। মাথায় মাচিন্দ্রা, আবাহনীর কথা ঘুরছিল। কিন্তু এখন সেই চাপ থেকে আমরা মুক্ত। এখন আমরা একটা ফাইনাল খেলতে নামব। গোয়া, মুম্বইয়ের মতো কঠিন দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামছি। আগামী মরসুমে খেলতে নামার আগে ফাইনাল আমাদের কাছে আরও একটা পরীক্ষা।”

ডুরান্ডকে আগাগোড়া প্রাক্‌-মরসুম প্রস্তুতি হিসাবেই যে দেখেছেন, সে কথা স্পষ্ট ফেরান্দোর কথায়। তবে ফাইনালে ওঠার পর ট্রফিই যে লক্ষ্য সেটাও মনে করিয়ে দিলেন। বলেছেন, “দল ফাইনালে ওঠায় আমি খুশি। গোয়া, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ভাল খেলে জিতেছি। ফাইনালে আরও একটা ভাল দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামব। নিজেদের সেরাটা দেওয়াই লক্ষ্য। ট্রফি জিততে চাই, এটা অস্বীকার করব না।”

ফাইনালের আগেও উঠেছিল পেনাল্টি-বিতর্ক। এ ক্ষেত্রে ফেরান্দোর অবস্থান ইস্টবেঙ্গল কোচের মতোই। বললেন, “কোচ হিসাবে নিজের দলের খেয়াল রাখাই আমাদের কাজ। এমন বিষয়ে প্রশ্ন করছেন যেটা আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। রেফারিদের নিয়ে কথা বলে নিজের শক্তি নষ্ট করতে চাই না। আমরা সবাই ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি চাই। তাই ভারতীয় রেফারিদের আরও বেশি করে তুলে আনাই আমাদের দরকার। আরও বেশি অ্যাকাডেমি তৈরি করার দরকার। বিদেশি রেফারি আনলেই সমস্যার সমাধান হবে এমনটা নয়।”

ফেরান্দোর সঙ্গে এসেছিলেন ডিফেন্ডার হেক্টর ইয়ুসতে। তিনি ভারতীয় খেলোয়াড়দের প্রশংসা করলেন। বললেন, “এখানে আসার আগে শুনেছিলাম যে ভারতীয় ফুটবলারদের মান ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। কিন্তু আনোয়ার আলির মতো ফুটবলারকে দেখে চমকে গিয়েছি। ও অসাধারণ ফুটবলার। সাহালের কথাও বলব। বল ছাড়া ওদের নড়াচড়া দেখার মতো।”

Kolkata Derby Mohun Bagan Juan Ferrando
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy