বাংলাকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী রঞ্জন। ফাইল ছবি
সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বের ড্র হয়ে গিয়েছে বৃহস্পতিবারই। গ্রুপ এ-তে বাংলার সঙ্গে রয়েছে মেঘালয়, পঞ্জাব, রাজস্থান এবং কেরল। অনেকেই একে ‘গ্রুপ অব ডেথ’ বা মারণ গ্রুপ বলছেন। কিন্তু এ কথা একেবারেই মানতে রাজি হলেন না বাংলার কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য।
শুক্রবার আনন্দবাজার অনলাইনকে বলে দিলেন, “বাংলা সন্তোষ ট্রফি খেলতে নামে জেতার জন্যেই। তাই কে আমাদের গ্রুপে রয়েছে, কে নেই সেটা নিয়ে একদমই ভাবতে রাজি নই। প্রতিটা ম্যাচে জিততেই আমরা মাঠে নামব। বাংলাকে যদি জিততে হয় তা হলে কঠিন দলকেই হারাতে হবে। কিন্তু আমার বিশ্বাস, গ্রুপে যারা রয়েছে তাদের হারাতে আমার ছেলেরা সক্ষম। ফলে প্রতিপক্ষ নিয়ে নয়, নিজেদের পরিকল্পনা নিয়েই বেশি ভাবছি। যাঁরা বলছেন আমরা মারণ গ্রুপে রয়েছি, তাঁদের সঙ্গে আমি সহমত নই।”
পঞ্জাব, কেরলকে নিয়ে ভাবতে নারাজ হলেও সার্ভিসেসকে সমীহ করছেন বাংলার কোচ। সার্ভিসেস গত বারের বিজয়ী। এ বার তারা রয়েছে ‘বি’ গ্রুপে। রঞ্জন বললেন, “সার্ভিসেস দলটা সারা বছর একসঙ্গে খেলে। অনেকদিন ধরেই ওরা একসঙ্গে রয়েছে। ফলে ওদের মধ্যে বোঝাপড়াও দারুণ। যদি প্রতিপক্ষ হিসাবে কোনও দলের নাম আলাদা করে বলতে হয়, তা হলে সার্ভিসেসের কথাই বলব। এ ছাড়াও দিল্লিকে সমীহ করতাম। ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘুরে ঘুরে ফুটবলার খুঁজে ওরা খেলিয়েছে। কিন্তু এ বার ওরা মূলপর্বে নেই। মণিপুর রয়েছে, কিন্তু ওরাও উল্টোদিকের গ্রুপে।”
রঞ্জনের মুখে উঠে এসেছে গুজরাতের কথাও। বলেছেন, “সন্তোষ ট্রফিতে অন্যতম সফল দল গোয়া। কিন্তু যোগ্যতা অর্জনের শেষ ম্যাচে ওরা গুজরাতের বিরুদ্ধে পেনাল্টি নষ্ট করে হেরে যায়। মূলপর্বের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। ফলে আলাদা করে কোনও দলকেই শক্তিশালী বলতে রাজি নই। প্রতিপক্ষের থেকে বাংলা যাতে অন্তত ২-৩টে সুযোগও বেশি তৈরি করতে পারে এবং কাজে লাগাতে পারে, সেই চেষ্টাই আমি করব। বাংলা বাংলার মতোই খেলবে।”
বাংলা দলের এ বারের অধিনায়ক মনোতোষ চাকলাদার। রয়েছেন প্রিয়ন্ত সিংহও। তাঁরা দু’জনেই দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ফুটবলার। বাকিরা সবাই প্রায় তরুণ। রঞ্জন জানালেন, দলে এই মুহূ্র্তে কোনও চোটের সমস্যাও নেই। আগামী ১৯ তারিখ থেকে যুবভারতীর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে অনুশীলন করবে বাংলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy