Advertisement
২০ মার্চ ২০২৩
Yuvraj Singh

মোতেরার উইকেট নিয়ে লেগে গেল গম্ভীর-যুবরাজের

গম্ভীর কিন্তু তাঁর পুরনো সতীর্থের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত নন।

যুবরাজের টুইটের পাল্টা দিলেন তাঁর পুরনো সতীর্থ গম্ভীর।

যুবরাজের টুইটের পাল্টা দিলেন তাঁর পুরনো সতীর্থ গম্ভীর।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২১ ২১:২২
Share: Save:

যুবরাজ সিংহের বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন গৌতম গম্ভীর। সেটা প্রকাশ্যে জানিয়েও দিলেন ভারতীয় দলের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। মাত্র দুই দিনেই শেষ হয়ে গিয়েছিল গোলাপি বলের টেস্ট। আমদাবাদে ইংল্যান্ড সেই টেস্টে ১০ উইকেটে হারতেই বাইশ গজ নিয়ে টুইটারে কটাক্ষ করেছিলেন যুবরাজ। তাঁর এমন টুইটে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। যদিও গম্ভীর কিন্তু তাঁর পুরনো সতীর্থের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত নন।

Advertisement

যুবি টুইটারে লিখেছিলেন, “মাত্র দুই দিনে ম্যাচ শেষ হয়ে গেল! এটা কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ভাল বিজ্ঞাপন নয়। অনিল কুম্বলে ও হরভজন সিংহ এমন পিচ পেলে তো ওঁদের ঝুলিতে ১০০০ ও ৮০০ উইকেট থাকত। যাই হোক অক্ষর দারুণ বোলিং করেছো। অশ্বিন তোমাকেও ধন্যবাদ। ১০০ টেস্টের জন্য ইশান্ত তোমাকে শুভেচ্ছা।” সেই টেস্টে ইংরেজদের ২০ উইকেটের মধ্যে ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন অক্ষর ও অশ্বিন।

একটি অনুষ্ঠানে এর পরিপ্রেক্ষিতে গম্ভীর বলেন, “যুবরাজের পুরো বক্তব্য মানতে পারলাম না। কারণ দুটো দল একই পিচে খেলছে। ভারত ব্যাট করতে এলে তো আলাদা পিচ দেওয়া হচ্ছে না। এই টেস্টে তো ভারতের ব্যাটসম্যানরাও লাইন লেংথ বুঝতে না পেরে সোজা বলে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছে। দুটো দলের ৩০টি উইকেট সোজা বলের শিকার হয়েছে।” তিনি আরও বলেছেন, “অশ্বিন নিশ্চয়ই এমন উইকেট চায়নি। এমন পিচে খেলা তো টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। আরও একটা বিষয় মনে রাখা উচিত, এমন উইকেট তৈরি করা হলে স্পিনারদের কিন্তু বেশ চাপে থাকতে হয়। কারণ ওরা উইকেট না তুলতে পারলেই ফের কটাক্ষ শুরু হয়ে যাবে। তাই ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলতে নামলে স্পিনাররাই সবচেয়ে বেশি চাপে থাকে।”

যুবি লিখেছিলেন এমন পিচ পেলে কুম্বলে ও হরভজনের উইকেট পাওয়ার সংখ্যা বেড়ে যেত। সেই বিষয় নিয়েও মন্তব্য করেছেন গৌতম। একই সঙ্গে তাঁর দাবি ওঁরা দুজন কিন্তু নিজেদের সময়ে ডিআরএসের সাহায্য পাননি। গম্ভীর বললেন, “এটা সত্যিই যে, ইদানীং আমাদের ঘরের মাঠে একটু অন্য ধরনের উইকেট তৈরি হচ্ছে। তাছাড়া এই সময় ডিআরএস কিন্তু ম্যাচে বড় প্রভাব ফেলে। তাই অনিল কুম্বলে ও ভাজ্জি খেলা চালিয়ে গেলে আরও সফল হতেই পারত। ডিআরএস প্রযুক্তি চলে আসার পর ওরা দুজন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারত। সেক্ষেত্রে ওদের ঝুলিতে ১০০০ ও ৮০০ উইকেট থাকলে অবাক হতাম না। কারণ ডিআরএস ব্যবহার হওয়ার জন্য ব্যাটের কানায় লেগে, বা ব্যাট-প্যাডে লেগে আউট হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.