Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Sreesanth

হরভজনের শাস্তি আটকাতে কেঁদে ফেলেছিলাম, দাবি শ্রীসন্থের

সে বারের আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স হেরে গিয়েছিল কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের কাছে। তার পরই হরভজনকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেছিলেন শ্রীসন্থ।

সেই ঘটনার পর শ্রীসন্থ। —ফাইল চিত্র।

সেই ঘটনার পর শ্রীসন্থ। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২০ ১৪:৪০
Share: Save:

২০০৮ সালে প্রথম আইপিএলে ঝড় তুলেছিল ‘স্ল্যাপগেট’ কাণ্ড। শ্রীসন্থকে মারা হরভজন সিংহের চড় নিয়ে উত্তাল হয়েছিল ক্রিকেটমহল। সেই ঘটনা নিয়েই মুখ খুললেন শ্রীসন্থ। দাবি করলেন, হরভজনের যাতে শাস্তি না হয়, তার জন্য তদন্ত কমিটির কাছে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি।

সে বারের আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স হেরে গিয়েছিল কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের কাছে। সেই পরাজয়ের যন্ত্রণা উসকে দিয়েছিল শ্রীসন্থের মন্তব্য। হরভজনকে উদ্দেশ করে শ্রীসন্থ বলেছিলেন, “পঞ্জাব বোম্বে কো হারায়েঙ্গে, পঞ্জাব বোম্বে কো হারায়েঙ্গে।” এর প্রতিক্রিয়া হিসেবেই হরভজন মারেন চড়। শ্রীসন্থের কান্নায় ভেঙে পড়া মুখের সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।

শ্রীসন্থ বলেছেন, “ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলেছিলাম। এর জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য সচিনের। সচিন বলেছিল, তোমরা তো একই দলে খেল। আমি বলেছিলাম, একদম ঠিক, নিজে গিয়ে দেখা করব। আমরা দেখা করেছিলাম, ওই রাতে একসঙ্গে নৈশভোজেও গিয়েছিলাম। কিন্তু মিডিয়া বাড়াবাড়ি করে ফেলল ঘটনাটা নিয়ে।”

আরও পড়ুন: লিলিদের ছাড়, ‘ব্ল্যাক’ বাহিনীকে আটকাতেই বাউন্সারে কোপ, বিধ্বংসী স্যামি​

আরও পড়ুন: সে দিন নিজের জন্য খেলছিলাম: মদন লাল।। রিচার্ডস-লয়েডের জন্য আলাদা পরিকল্পনা ছিল: রজার বিনি

ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড এই ঘটনার তদন্তের জন্য সুধীন্দ্র নানাবতীকে নিয়োগ করে। শ্রীসন্থের কথায়, “নানাবতী স্যারের সামনে গিয়ে আমি আক্ষরিক অর্থেই কেঁদে ফেলেছিলাম। অনুনয় করেছিলাম, ভাজ্জিকে যেন নির্বাসন বা অন্য শাস্তি না দেওয়া হয়। আমাদের তো একই দলে আগামী দিনে খেলার কথা ছিল। ভাজ্জি হল ম্যাচ উইনার, ভারতের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছিল। চাইনি ওর কোনও ক্ষতি হোক। আমি সবে খেলা শুরু করেছিলাম। ভাজ্জির সঙ্গে থেকে ম্যাচ জেতানোই ছিল আমার লক্ষ্য। নিজের দাদা হিসাবে ভাবতাম ওকে। আমার কান্নার ভিডিয়োও করা হয়েছিল। চাইলে নানাবতী স্যারের কাছে চাইতে পারেন আপনারা।”

হরভজনের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন এখন? শ্রীসন্থ বলেছেন, “ভাজ্জির সঙ্গে সম্পর্ক একেবারে ঠিকঠাক। ও অনেক বদলে গিয়েছে। আমিও বদলেছি। আর ও তো প্রকাশ্যেই বলেছিল, ‘শ্রী, তুই যেখানেই তাকিস না কেন, মাফ করে দিস।’ হরভজন বরাবরই ছিল আমার দাদার মতো। হয়তো ওই সময়ে ব্যাপারটা অন্য রকম ছিল। কিন্তু ও বরাবরই কিংবদন্তি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE