Advertisement
E-Paper

নিজের দেশে কোণঠাসা জোকার, সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে শামিল ‘দেশবিরোধী’ টেনিস তারকা, বাড়ছে দেশ ছাড়ার সম্ভাবনা

গত ডিসেম্বর থেকে সার্বিয়ায় শুরু হয়েছে প্রেসিডেন্ট বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। প্রথম থেকেই সেই আন্দোলনের সমর্থক নোভাক জোকোভিচ। স্বভাবতই তাঁর উপর অসন্তুষ্ট প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুকিচ।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৫ ১৩:১৫
picture of Novak Djokovic

নোভাক জোকোভিচ। —ফাইল চিত্র।

দেশ ছাড়তে পারেন নোভাক জোকোভিচ। পরিবার নিয়ে গ্রিসে চলে যেতে পারেন ২৪ গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক। সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুকিচ এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন চলছে। জোকোভিচ সেই আন্দোলনে ছাত্রদের পাশে দাঁড়ানোয় সার্বিয়া প্রশাসনের রোষে পড়তে পারেন। সে দেশের প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যমে জোকোভিচকে ‘দেশবিরোধী’ বলা হয়েছে।

জোকোভিচ দেশ ছাড়তে চাইলে সার্বিয়া সরকার নাকি তাঁকে বাধা দেবে না। সে দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভুকিচের সমর্থক কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ধারাবাহিক ভাবে জোকোভিচের বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করেছে। বিশ্বের অন্যতম সেরা টেনিস খেলোয়াড়ের তীব্র সমালোচনা করা হচ্ছে।

গত ডিসেম্বরে শুরু হওয়া প্রেসিডেন্ট বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন করছেন জোকোভিচ। প্রথম থেকেই তিনি আন্দোলনের সমর্থক। ফলে সার্বিয়া প্রশাসনের চোখে তিনি এখন ‘শত্রু’। আন্দোলনের শুরুর দিকে সমাজমাধ্যমে জোকার লিখেছিলেন, ‘‘যুব সমাজের উপর আমার ভরসা রয়েছে। তাদের ক্ষমতার উপর আস্থা রয়েছে। আমার মতে, উন্নত ভবিষ্যতের জন্য তাদের কথা শোনা জরুরি। দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি যুবসমাজ। তাদের সম্মান করা উচিত। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সার্বিয়ার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।’’ গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয় তিনি উৎসর্গ করেছিলেন প্রয়াত এক ছাত্রকে। আন্দোলনের সময় দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। বেলগ্রেড বাস্কেটবল ডার্বি দেখতে জোকোভিচ যে টি-শার্ট পরে গিয়েছিলেন, তাতে ‘স্টুডেন্টস অ্যান্ড চ্যাম্পিয়ন্স’ লেখা ছিল।

তার পর থেকেই প্রেসিডেন্ট ভুকিচের সমর্থক সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা সহ্য করতে হচ্ছে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে। জোকোভিচের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সার্বিয়ার জন্য তাঁর কোনও অবদান নেই। ব্যক্তিগত স্বার্থে দেশের নাম ব্যবহার করেছেন। ৩৮ বছরের টেনিস খেলোয়াড়ের গতিবিধির উপর নজর রাখছে প্রশাসনও।

পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে নিজের দেশেই আর নিজেকে সুরক্ষিত মনে করছেন না জোকোভিচ। সরকার বিরোধী কয়েকটা সংবাদমাধ্যমের দাবি, পরিবারের সুরক্ষা এবং ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে গ্রিসের অ্যাথেন্সে চলে যেতে পারেন জোকোভিচ। পাকাপাকি ভাবে বসবাসের জন্য গ্রিসকে বেছে নিতে পারেন সার্ব তারকা। সম্প্রতি গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিসের সঙ্গে একাধিক বার দেখা করেছেন জোকোভিচ। তাঁদের সাক্ষাতের কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। উভয় পক্ষই সৌজন্য সাক্ষাৎ বললেও জল্পনা তৈরি হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, পরিবার নিয়ে গ্রিসে চলে যেতে পারেন বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড়। যদিও জোকোভিচ নিজে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি।

Novak Djokovic Serbia greece Tennis
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy