Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

পুরী-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেসে বিষক্রিয়া? অসুস্থ অন্তত ৩০

দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে সকালের প্রাতঃরাশের আগে পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। ব্রেকফাস্টের পরই কয়েকজন যাত্রী বমি করা শুরু করেন।

হাওড়া পৌঁছলেন শতাব্দী এক্সপ্রেসের অসুস্থ যাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র।

হাওড়া পৌঁছলেন শতাব্দী এক্সপ্রেসের অসুস্থ যাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৮ ১৪:৪৫
Share: Save:

খাবারে বিষক্রিয়া হয়ে চলন্ত ট্রেনেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন শতাব্দী এক্সপ্রেসের প্রায় তিরিশ জন যাত্রী। বুধবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে পুরী স্টেশন থেকে রওনা হয় পুরি-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেস। এদিন ট্রেনে মোট যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৪৭৫ জন।

দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে সকালের প্রাতঃরাশের আগে পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। ওই ট্রেনের এক যাত্রী বলেন, “ ভুবনেশ্বরে ব্রেকফাস্ট দেওয়া হয়। তার পর থেকেই কয়েকজন যাত্রী বমি করা শুরু করেন। এরপর আরও কয়েকজন একই রকম শারীরিক অস্বস্তির অভিযোগ করেন। ট্রেন যখন বালেশ্বর পৌঁছয় তখন অসুস্থ যাত্রীর সংখ্যাও লাফিয়ে বাড়তে থাকে। প্রত্যেকেরই একই উপসর্গ। বমি, পেটে অস্বস্তি সঙ্গে মাথা ব্যাথা।

তখনই যাত্রীরা সন্দেহ করেন রেলের দেওয়া খাবার থেকেই গোলমাল। সঙ্গে সঙ্গে কোচ অ্যাটেনডেন্ট এবং টিকিট চেকারদের জানান যাত্রীরা। তাঁরাই যোগাযেোগ করেন খড়্গপুরে রেলের আধিকারিকদের। ততক্ষনে যাত্রীদের অনেকেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের অবস্থা দেখে খড়গপুর স্টেশনেই অসুস্থ যাত্রীদের নামিয়ে রেল হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ট্রেন খড়্গপুর পৌঁছতেই রেলের চিকিৎসকরা যাত্রীদের চিকিৎসা শুরু করেন। যাঁদের অবস্থার অবনতি হয়েছে এমন ১৪ জনকে সেখানকার রেল হাসপাতালে ভর্তি করে হয়। অসুস্থ যাত্রীরা মূলত সি ২, সি ৩, সি ৪ কামরার যাত্রী। এঁরা বারুইপুর, বাঘাযতীন এবং বীরভূমের বাসিন্দা। এঁদের মধ্যেই একজন ৬২ বছরের মানিক ঘোষাল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যাত্রীদের মধ্যে তাঁর অবস্থাই আসঙ্কাজনক।

আরও পড়ুন: নির্দল ভোটের হিসেব কই, প্রশ্নের মুখে কমিশন

আরও পড়ুন:‘চায়ে পে কব্জা’ই কি লক্ষ্য অমিতের

দেখুন ভিডিয়ো

বাকি যাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ট্রেন খড়গপুর থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তিনটে নাগাদ হাওড়াতে বাকি যাত্রীদের নিয়ে পৌঁছয় শতাব্দী এক্সপ্রেস। আইআরসিটিসির গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিষ চন্দ্র হাওড়া স্টেশনে পৌঁছন। তিনি বলেন, “৪৯৫টি খাবারের প্যকেট তৈরি করা হয়েছিল। পুরী থেকেই খাবার উঠেছিল। এখন পর্যন্ত ১৪ জনের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। খাবার পরীক্ষা করা হচ্ছে। যদি খাবার থেকেই এই বিষক্রিয়া হয়ে থাকে তবে দোষাদের কঠোরতম শাস্তি হবে।” তাঁর নির্দেশে যাত্রীদের যে খাবার দেওয়া হয়েছে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE