বোমাবাজিতে হত শেখ শ্যামবাবু। বীরভূমের পাড়ুইয়ে। —নিজস্ব চিত্র
গ্রামের স্কুলে কোয়রান্টিন সেন্টার গড়তে গিয়েছিল প্রশাসন। সেই নিয়ে দু’ভাগ হয়ে যান গ্রামবাসীরা। বচসা থেকে শুরু হয় বোমা-গুলির লড়াই। সেই লড়াইয়ের মাঝখানে পড়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের পাড়ুই থানার তালিবপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম শেখ শ্যামবাবু (৪৫)। আরও এক তরুণ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বীরভূমের দুশোরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোয়রান্টিন কেন্দ্র গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা-সংক্রমণ দ্রুত ছড়ালে যাতে রোগীদের আলাদা রাখা যায়, সে জন্যই এমন ভাবনা বলে প্রশাসনিক কর্তাদের দাবি। সেই সূত্রেই সিউড়ি ২ ব্লকের বনশঙ্কা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তালিবপুর গ্রামের হাইস্কুলে কোয়রান্টিন কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ ব্যাপারে এ দিন সন্ধ্যায় পঞ্চায়েত প্রধান মরিরাম দাস এবং পাড়ুই থানার পুলিশ আধিকারিকেরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। প্রথম থেকেই গ্রামবাসীর একাংশের কোয়রান্টিন কেন্দ্রে আপত্তি ছিল। তাঁদের আরও ভাবনাচিন্তা করার পরামর্শ দিয়ে আধিকারিকেরা গ্রাম ছাড়েন।
সূত্রের খবর, পুলিশ চলে যেতেই আপত্তি তোলা গ্রামবাসীদের সঙ্গে তুমুল বিবাদ বাধে কোয়রান্টিন কেন্দ্রের পক্ষে সায় দেওয়াদের। সেই থেকেই শুরু হয় বোমা-গুলির লড়াই। সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে মারা যান শ্যামবাবু। খবর পেয়ে গ্রামে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তার মধ্যেই খুনে অভিযুক্তদের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, ‘‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। পুলিশ-প্রশাসন বিষয়টি দেখছে।’’
আরও পড়ুন: সন্দেহ করোনা, কবর দেওয়া ঘিরে ধুন্ধুমার আন্দুলে
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy