প্রতীকী ছবি
জেলার করোনা হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন আরও দুই করোনা আক্রান্ত। পাশাপাশি, পূর্ব মেদিনীপুরে নতুন করে পাঁচটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে করোনা উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের লালারসের নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, তমলুকের করোনা আক্রান্ত পান ব্যবসায়ী এবং এক গ্রামীণ চিকিৎসকের পরিবারের কয়েকজন সদস্য পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে বড়মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দুই পুরুষ সদস্য গত ৪ এবং ৬ এপ্রিল থেকে ওই হাসপাতালে ছিলেন। তাঁদের শনিবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
করোনার সঙ্গে লড়তে আরও কড়া করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন, জেলায় আর কেউ করোনা আক্রান্ত রয়েছেন কি না, তা জানতে এবং করোনা উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে ‘অ্যাক্টিভ সারভিল্যান্স’ পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে। এই পদ্ধতিতে জেলার পুরসভা ও গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেবেন কারও জ্বর, সর্দি এবং কাশি হয়েছে কি না। কারও জ্বর থাকলে, তাঁকে হাসপাতালের ‘ফিভার ক্লিনিকে’ পাঠানো হবে। আর করোনা উপসর্গ থাকলেই লালারসের নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এই সমীক্ষার কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। নমুনা সংগ্রহের জন্য বর্তমানে তমলুক জেলা হাসপাতাল, এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি, পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি এবং হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ব্যবস্থা রয়েছে। নতুন করে শহিদ মাতঙ্গিনী, মহিষাদল, ভগবানপুর, পটাশপুর-২ এবং ময়না ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
অন্যদিকে, এগরা-২ ব্লকের তিন বাসিন্দা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁদের লালারস করোনা পরীক্ষার জন্য মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। শুক্রবার রাতে এক জনের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। শনিবার সকালে ওই রোগীকে হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে সাধারণ বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বাকি দু’জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসেনি বলে মহকুমা হাসপাতাল সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy