ব্রিগেড সমাবেশের পরে আক্রমণ শানাল তৃণমূল ও বিজেপি। ছবি: পিটিআই।
সিপিএমের কাজকর্মে আখেরে বিজেপিরই সুবিধা হবে বলে ব্রিগেড সমাবেশের পরে আক্রমণ শানাল তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, বামে-রামে মিলে গিয়েছে। আবার বিজেপি পাল্টা বলেছে, তৃণমূলই বামেদের উজ্জীবনে সাহায্য করছে!
ব্রিগেড থেকে রবিবার বামেরা কেন্দ্রের মোদী সরকারের পাশাপাশি রাজ্যে তৃণমূল সরকারকেও উৎখাতের ডাক দিয়েছে। সারদা, নারদ-কাণ্ডের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবির দাম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাম নেতারা। যার জবাবে তৃণমূলের নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘‘তৃণমূলকে হেয় করতে কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম একসঙ্গে কথা বলছে! ছবি কেনা নিয়ে, সারদা, নারদ নিয়ে মোদী, সূর্য, সেলিমরা খুব ব্যস্ত!’’
মমতা ও নরেন্দ্র মোদীকে হটানোর দাবি প্রসঙ্গে বামেদের আক্রমণ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের প্রশ্ন, ‘‘দু’জনকেই সরিয়ে কার সঙ্গে যাবেন? একা তো একটি পুরসভা জেতারও ক্ষমতা নেই! নিজের শক্তি বিবেচনা করে কথা বলা ভাল।’’ তিনি বামেদের সঙ্গে তৃণমূলের গোপন যোগের ইঙ্গিত করে বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে তৃণমূলের হাতে বামেদের কর্মীরা আক্রান্ত হননি, কেবল বিজেপির কর্মীরাই আক্রান্ত হয়েছেন।’’ বামেদের সমাবেশ ভরাতে রাজ্য সরকার কতটা সাহায্য করেছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখতেও বলেছেন কৈলাস। যদিও মুখ্যমন্ত্রী শনিবার আগাম বলেছিলেন, মোদীর সভায় যাঁরা গিয়েছেন, তাঁরাই বামেদের সমাবেশে যাবেন।
কৃষকের জন্য ‘দয়ার দান’ নয়, ফসলের ন্যায্য মূল্যের দাবি করেছেন বাম নেতারা। তাঁদের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো কৃষকদের আয় তিন গুণ বেড়ে থাকলে ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের দরকার হচ্ছে কেন? ফিরহাদের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামে গুলি করে কৃষক হত্যা করেছে বামেরাই। কী ভাবে কৃষক-দরদী হতে হয়, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শিখুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy