Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
State Election

রাজ্যের ভোটে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, চর্চা নির্বাচন কমিশনে

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে ভোট পর্ব যত এগিয়েছিল, ততই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বেড়েছিল।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ ও শুভাশিস ঘটক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২০ ০৪:১৫
Share: Save:

নির্বাচনী উত্তাপে গা সেঁকতে শুরু করেছে বঙ্গের রাজনীতি। সেই নির্বাচন আয়োজনের নানা দিক নিয়ে পরিকল্পনা সাজাতে আলাপ আলোচনা করছে নির্বাচন কমিশন। আর ভোটের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা সেই পরিকল্পনার অন্যতম অঙ্গ। তাই আগামী বছরে হওয়া এ রাজ্যের বিধানসভা ভোট নিরাপত্তায় ব্যবহার করা হতে পারে প্রায় ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কমিশনের প্রাথমিক পরিকল্পনায় তাই উঠে এসেছে বলে সূত্রের দাবি। ভোট আয়োজনের আলোচনায় জায়গা করে নিচ্ছে কোভিড-১৯। সেই পরিস্থিতিতে আগামী বছরের রাজ্যের নির্বাচনের জন্য হেলিকপ্টার সংখ্যা বাড়াতে চায় কমিশন। পাশাপাশি, ভোট পর্বে এয়ার অ্যাম্বুল‍্যান্সের বন্দোবস্ত রাখার পক্ষে সওয়াল করছে তারা।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে ভোট পর্ব যত এগিয়েছিল, ততই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বেড়েছিল। সর্বোচ্চ তা ৭৪৫ কোম্পানির মতো ছিল। সে কারণে লোকসভা নির্বাচনে শুরুর দফা গুলির তুলনায় শেষের দিকে বুথ পাহারায় অনেক বেশি ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। শেষের দিকে দফাগুলোয় ৯৬-৯৯ শতাংশের মতো বুথের দায়িত্বে ছিল তারা। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এ রাজ্যের সব বুথের পাহারায় ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আগামী বছরের বিধানসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের সব বুথ পাহারাতে দেখা যেতে পারে তাঁদের। সেই সম্ভাবনা ইতিবাচক বলে কমিশন অন্দরের খবর। সে কারণে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যের ভোটে ব্যবহার নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে কমিশনের অন্দরে।

তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন উঠেছে। কমিশন কর্তা-আধিকারিকদের মতে, "অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। তার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা করতেই হয়।" ইতিমধ্যে এ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বুথের ম্যাপিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ভোট নিরাপত্তার রূপরেখা চূড়ান্ত করতে এই ম্যাপিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

আরও পড়ুন: রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রথম দফায় ছ’লক্ষ টিকা দাবি

করোনা পর্বে ভোট হওয়ায় বিহারে বুথের সংখ্যা বাড়িয়েছিল কমিশন। পশ্চিমবঙ্গেও সেই সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণে গত লোকসভার তুলনায় বেশি বাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে বলেও চর্চা চলছে কমিশনের অন্দরে। তবে বাহিনীর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ছাড়পত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয় কমিশনকে। কারণ, ভোট পর্বের সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কত বাহিনী দিতে পারবে, তার উপরেও নির্ভর করে মোতায়েনের পরিকল্পনা। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি একই সময়ে ভোট হওয়ার কথা অসম, তামিলনাড়ু, কেরল, পুদুচেরিতেও।

করোনা পরিস্থিতিতে হেলিকপ্টারের সংখ্যাও বাড়াতে চায় কমিশন। যা ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছিলেন কমিশন নিযুক্ত পর্যবেক্ষকরা। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে হেলিকপ্টারের পাশাপাশি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স প্রস্তুত রাখতে চায় কমিশন।

আরও পড়ুন: রাজ্যের বেকারত্ব নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল তরজা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

State Election Central Forces
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE