Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
কমিশনে নালিশ তৃণমূলের

বিজেপি প্রার্থীর স্বামী কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘দায়িত্বে’

তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কার্যত ‘শিখিয়ে-পড়িয়ে’ দিচ্ছেন দক্ষিণ মালদহের বিজেপি প্রার্থীর স্বামী। তাঁর ওই পদে থাকাটা শুধু সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে নয়, রাজ্য জুড়েই অবাধ নির্বাচনের পক্ষে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯ ০৩:৫৪
Share: Save:

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিব হিসেবে বছর দু’য়েক আগে অবসর নিয়েছেন আর কে মিত্র। একদা কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রশাসনিক দায়িত্বে ছিলেন তিনি। অবসরের পরে উপদেষ্টা হিসেবে চুক্তির ভিত্তিতে কার্যত ওই পদেই তাঁকে নিয়োগ করা হয়। এ-হেন আর কে মিত্র মালদহ দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর স্বামী। এই তথ্য তুলে ধরে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী।

তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কার্যত ‘শিখিয়ে-পড়িয়ে’ দিচ্ছেন দক্ষিণ মালদহের বিজেপি প্রার্থীর স্বামী। তাঁর ওই পদে থাকাটা শুধু সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে নয়, রাজ্য জুড়েই অবাধ নির্বাচনের পক্ষে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী, তিন বছর একই পদে থাকা অফিসার বা অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের বাহিনী মোতায়েন কাজে রাখা যাবে না। ফলে আর কে মিত্রের বাহিনী দেখাশোনার দায়িত্বে থাকাটা নির্বাচনী বিধিভঙ্গ বলে অভিযোগ তৃণমূলের।

নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন ছাড়াই ‘থিম সঙ’ করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। তাঁকে শো-কজ করেছিল কমিশন। তার জবাবও দিয়েছেন বাবুল। রবিবার ওই গানেই পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে ‘লিপ’ দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই ঘটনার রিপোর্টও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নির্বাচন অফিসার তথা জেলাশাসকের কাছ থেকে চেয়েছে রাজ্য মুখ্য নির্বাচন অফিসারের (সিইও) দফতর।

এর পাশাপাশি নকুলদানা-কাণ্ড নিয়ে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে শো-কজ করেছিল কমিশন। ‘প্রসাদ’ তত্ত্বেই তার জবাব দিয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। সূত্রের খবর, জবাবে অনুব্রত জানিয়েছেন, তিনি নকুলদানা প্রসাদ খাওয়ানোর কথাই বলেছেন। বৈষ্ণোদেবী, তিরুপতি, অজমেঢ় শরিফ থেকে পাথরচাপুড়ি সব ধর্মীয় স্থানেই নকুলদানা প্রসাদ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এর ভিন্ন অর্থ নেই।

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

‘সুবিধা’ অ্যাপ নিয়ে সিইও দফতরের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন। সূত্রের খবর, ‘সুবিধা’ অ্যাপে অনেকে ঠিকমতো সভার অনুমোদন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। সে ক্ষেত্রে এ রাজ্য থেকে এখনও পর্যন্ত ‘সুবিধা’ অ্যাপে কী ভাবে সভার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য নির্বাচন সদনে পাঠাতে পারে সিইও দফতর। পাশাপাশি, হুগলির জেলা নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে ওঠা পক্ষপাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কমিশন। সিইও দফতর থেকে রিপোর্ট চেয়েছে তারা। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষের ফোনে আড়িপাতা হচ্ছে বলে এ দিন সিইও-র কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁর আইনজীবী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 TMC BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE