Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
State News

বাংলার পর মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নও পাচার হয়ে গেল ১ ঘণ্টার মধ্যে, পর্ষদের মুখে কুলুপ

বাংলার প্রশ্নপত্র বাইরে বেরিয়ে আসার শিক্ষামন্ত্রী রিপোর্ট তলব করেছিলেন। বুধবার পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়। পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা, এমনকি শিক্ষাকর্মীরা মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকছেন কি না, নজরদারি চালানো হয়।

প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়া আটকানো গেল না। —নিজস্ব চিত্র।

প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়া আটকানো গেল না। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৭:০৯
Share: Save:

বাংলার পর এ বার ইংরেজি। ফের পরীক্ষার হল থেকে পাচার হয়ে গেল মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র! এ যেন বজ্র আঁটুনি, কিন্তু ফস্কা গেরো।

বুধবার ইংরেজি পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ছড়িয়ে পড়ে প্রশ্নের প্রতিলিপি। পরীক্ষা শেষে দেখা যায়, বাইরে বেরিয়ে আসা প্রশ্নের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে পরীক্ষাকেন্দ্রে দেওয়া ইংরেজি প্রশ্নপত্রের। পর পর দু’টি ভাষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় বিব্রত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তিনি মধ্যশিক্ষা পর্যদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কোনও পরীক্ষার্থী মোবাইল-সহ ধরা পড়লে তাঁকে আর পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রে যাঁরা নজরদারির দায়িত্বে রয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, কী ভাবে প্রশ্নপত্র বেরিয়ে যাচ্ছে তার তদন্ত চলছে।

বাংলার প্রশ্নপত্র বাইরে বেরিয়ে আসায় শিক্ষামন্ত্রী রিপোর্ট তলব করেছিলেন। বুধবার পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়। পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা, এমনকি শিক্ষাকর্মীরা মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকছেন কি না, নজরদারি চালানো হয়। মোবাইল জমা রাখা হয় সেন্টার ইনচার্জের কাছে। তার পরেও প্রশ্নপত্র বেরিয়ে যাওয়া আটকানো গেল না। এই ঘটনায় কার্যত ফের এক বার মুখ পুড়ল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের।

আরও পড়ুন: আপাতত প্রশ্ন শেষ, আজই কলকাতায় ফিরছেন রাজীব কুমার, ডাকা হতে পারে ফের

এ দিন মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনে ইংরেজি পরীক্ষা শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে প্রশ্নপত্রের কয়েকটি পাতা বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পড়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এ বিষয়ে কল্যাণময়বাবুর এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বাংলা প্রশ্নপত্র বেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি জানিয়েছিলেন, “এটাকে প্রশ্ন ফাঁস বলা যাবে না। পরীক্ষা বাতিলেরও কোনও প্রশ্ন নেই।”

আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের প্রথম দিনেই মোবাইলে প্রশ্ন বাইরে!

পর্ষদ যতই তাঁর দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইলেও, এই ঘটনাকে কেন্দ্রে করে শিক্ষা মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। গত বছর ময়নাগুড়ি জেলায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনার পর, এ বছর কোমর বেঁধে নেমেছিল পর্ষদ। কিন্তু পর পর দু’দিনের ঘটনায় পরিষ্কার হয় গেল, নজরদারিতেই খামতি রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE