প্রতীকী ছবি।
মৃত্যু হল করোনা-আক্রান্ত এক পুলিশকর্মীর। শনিবার সকালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪৭ বছরের ওই পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয় বলে লালবাজার সূত্রে জানানো হয়েছে। ডিসি সাউথের অফিসে পোস্টিং থাকলেও ওই পুলিশকর্মী শেক্সপিয়র সরণি থানায় কনস্টেবল হিসেবে কাজ করতেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই কনস্টেবলের বাড়ি শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়া থানা এলাকায়। ২৪ মে স্ত্রীর অসুস্থতার খবর পেয়ে তিনি ছুটি নিয়ে ২৮ মে বাসে বাড়ি যান। ১ জুন ফিরেও আসেন। সেই দিনই কয়েক জন কনস্টেবলের করোনা পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্ট এলে দেখা যায়, ওই কনস্টেবল করোনা-আক্রান্ত। ৩ জুন তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়।
এ দিকে, আক্রান্ত ও মৃত্যু, দুই সূচকেই শনিবার বঙ্গে করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যান আপাত সর্বোচ্চ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রইল। শুক্রবারের আক্রান্তের সংখ্যাকে (৪২৭) ছাপিয়ে এ দিন নতুন করে ৪৩৫ জন করোনা পজ়িটিভ হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সরাসরি করোনার কারণে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। এক দিনে করোনা রোগীদের মৃত্যুর নিরিখে যা এখনও সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন: বিধিনিষেধ উড়িয়ে ক্রমশ বেপরোয়া হচ্ছে শহর
প্রতিদিন এ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা যে ভাবে বাড়ছে, তাতে সংক্রমণ দ্বিগুণ হওয়ার হার দ্রুত কমতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে দু’সপ্তাহ থেকে কমে তা দশ দিনের একটু বেশি হয়ে রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৬ মে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪০০৯। এ দিন বুলেটিনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৭৭৩৪ জন। প্রতিদিনের বুলেটিনে ২৪ ঘণ্টার হিসেবে কার্যত এক দিন আগের আক্রান্ত-মৃতের সংখ্যা দেখানো হয়। স্বাস্থ্য দফতরের খবর, আইসিএমআরের পোর্টালে বিভিন্ন ল্যাব ‘রিয়েল টাইমে’ যে তথ্য আপলোড করেছে, সেই অনুয়ায়ী এ দিন রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় আট হাজারে পৌঁছে গিয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৫০-৫৩ শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর।
শনিবারই কলকাতা পুলিশের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার করোনায় আক্রান্ত হন। এই প্রথম কোনও শীর্ষ কর্তার দেহে করোনার উপস্থিতি মিলল বলে লালবাজার সূত্রের খবর। এ পর্যন্ত ১৯৫ জন কলকাতা পুলিশের দেহে করোনাভাইরাসের নমুনা মিলল। নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে রাজ্যের এক মন্ত্রীর আত্মীয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে খবর। স্বাস্থ্য দফতরের খবর, আইডি’র ১৫টি সিসিইউ শয্যার একটিও এই মুহূর্তে ফাঁকা নেই। সংক্রামক রোগের হাসপাতালে আক্রান্তদের মধ্যে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের তিন জন বাসিন্দা রয়েছেন বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy