মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসানোর নামে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে বেসরকারি কোম্পানির এক এজেন্টকে গ্রেফতার করল হিড়বাঁধ থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সুকান্ত ওরফে বাপি সেনগুপ্ত। তার বাড়ি খাতড়া শহরের শ্রীপল্লি এলাকায়।
হিড়বাঁধ থানার ভুয়াকানা গ্রামের বাসিন্দা রাবেয়া বেগম নামে এক মহিলা এক বছর আগে পুলিশের কাছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাঁর জমিতে টাওয়ার বসানোর লোভ দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে প্রতারণা করে বলে অভিযোগ দায়ের করেন। দীর্ঘদিন ফেরার থাকার পর শনিবার রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বর থেকে সুকান্তকে ধরা হয় বলে পুলিশের দাবি। রবিবার ধৃতকে খাতড়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, একটি বেসরকারি কোম্পানির টাওয়ার বসানোর জন্য সুকান্ত সেনগুপ্ত নামে এক এজেন্ট তাঁর কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে ওই মহিলা ২০১৩ সালের ৩ ডিসেম্বর হিড়বাঁধ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হিড়বাঁধ থানার ওসি রামনারায়ণ পাল বাহিনী নিয়ে গিয়ে শনিবার রাতে মেদিনীপুর যান। সেখান থেকে অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে। রাবেয়া বেগমের অভিযোগ, তাঁর জমিতে ওই সংস্থার টাওয়ার বসালে প্রতি মাসে সাড়ে দশ হাজার টাকা করে ভাড়া এবং বাড়ির একজনকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সুকান্ত। আড়াই লক্ষ টাকা সিকিউরিটি হিসেবে জমা করতে বলে। তাঁর দাবি, “২০১১ সালের মার্চ মাসে সুকান্ত আমার কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। এর পর এক বছর পেরিয়ে গেলেও আমার জমিতে টাওয়ার বসায়নি। আমি সুকান্তর কাছ থেকে টাকা ফেরতের দাবি জানাই। সুকান্ত টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করলে আমি বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।” এ দিন চেষ্টা করে অভিযুক্ত বা অভিযুক্তের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy