—ফাইল চিত্র।
নতুন বছরের শুরুতেই বাজেট পেশ করতে চায় রাজ্য সরকার। সে জন্য আগামী ১৬ নভেম্বরের মধ্যে ২০১৯-২০ সালের বাজেট প্রস্তাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল অর্থ দফতর। বিভিন্ন দফতরকে অবশ্য বলা হয়েছে, চলতি আর্থিক সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে দফতরগুলিকে বাজেটে প্রস্তাব জমা দিতে হবে। যার অর্থ, চাইলেই দফতরগুলি দেদার খরচের প্রস্তাব বাজেটে দিতে পারবে না।
২০১৯-এর মার্চ-এপ্রিলে লোকসভা ভোট। ফলে তার আগে রাজ্য বাজেটে সব দফতরেরই কমবেশি নতুন প্রকল্প ও বাড়তি বরাদ্দ চাওয়ার কথা। সেই পরিস্থিতি এড়াতেই অর্থ দফতর আর্থিক সঙ্কটের কথা মাথায় রাখতে বলেছে বলে জানান অর্থ কর্তারা।
২০১৮-এর জানুয়ারি বাজেট পেশ করেছিল রাজ্য। তাতে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার কোটি টাকা খরচের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এ বার সেই খরচ ২ লক্ষ কোটি ছাড়াতে পারে। কিন্তু খরচ সীমার মধ্যে বেঁধে রাখতে চাইছে অর্থ দফতর। কারণ, বাজেটে প্রস্তাবিত খরচের তুলনায় বরাবরই আয় কম হচ্ছে। ফলে রাজস্ব ও রাজকোষ ঘাটতি বেড়েই চলেছে। ২০১৮-১৯ সালের শেষে রাজ্যের ঘাড়ে ঋণের বোঝা দাঁড়াবে ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার কোটি টাকা। রাজকোষ ঘাটতিও ৩০ হাজার কোটি ছাড়াতে পারে। তার উপর সরকারি কর্মচারীদের বেতন কমিশনের বোঝাও রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার দু’বছর আগে তা দিয়ে দিলেও পশ্চিমবঙ্গে তা এখনও দেওয়া সম্ভব হয়নি। এমন অবস্থায় রাজ্যের পক্ষে বাড়তি খরচের দায় নেওয়া মুশকিল বলে মনে করছেন অর্থ কর্তারা।
অর্থ দফতরের বক্তব্য, ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা খাতের ৭০% টাকা খরচ করার জন্য দফতরগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী পাঁচ মাস উন্নয়ন খাতের খরচ চালাতে দেওয়া হবে, নাকি কিছুটা রাশ টানা হবে তা সংশোধিত বাজেট প্রস্তাব পেলেই ঠিক করা হবে। সে জন্য নভেম্বরের মধ্যেই চলতি বছরের বাজেটের সংশোধিত খরচের বিস্তারিত পেশ করতে বলা হয়েছে। অর্থ সচিব এইচ কে দ্বিবেদী অন্য দফতরের সচিবদের লিখেছেন, সংশোধিত বাজেট প্রস্তাবের সময়ও যেন অযথা টাকা খরচ এড়িয়ে চলা হয়।
কেন ভোটের বছরেও সরকার এমন কৃপণ? নবান্নের খবর, এখন আর নতুন প্রকল্প ঘোষণা করে বাড়তি টাকা বরাদ্দের কোনও সুযোগ নেই। জিএসটি আসার পর রাজ্যের হাতে কর বসানোর ক্ষমতাও প্রায় নেই। আবগারি, জমি-বাড়ি বিক্রির রেজিস্ট্রেশন ছাড়া রোজগারের বড় রাস্তা নেই। ফলে খরচ বাড়ানোর পথে হাঁটতে চায় না সরকার। ফলে হিসেব কষে পা ফেলতে হচ্ছে অর্থ কর্তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy