তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক
শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পরের দিনই তাঁকে নিয়ে বিজেপিকে তোপ দাগলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে মেদিনীপুরের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী ও অমিত শাহের করা একের পর এক উক্তির পাল্টা যুক্তি দিলেন। বললেন, ‘‘বিজেপি শুভেন্দু অধিকারীকে দলে নিয়ে ভাবছে, বাংলা দখল হয়ে গেছে। এমন, যেন ২৫০ আসন জিতে গেছে। ভাগ্যিস বলেনি, ৩০০ আসন পাবে। শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলে তৃণমূলের মতো বড় রাজনৈতিক দলের কিছু এসে যায় না। আমাদের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উপরে বাংলার মানুষ ভরসা করে। তাতেই আমরা নিশ্চিত, ক্ষমতায় থাকব।’’
ইস্যু ধরে ধরে অমিত শাহ ও বিজেপির সমালোচনা করেন সুব্রত। সম্প্রতি বোলপুরে অমিত শাহকে স্বাগত জানানোর জন্য একাধিক পোস্টার দেয় বিজেপি। সেখানে অমিত শাহ, অনুপম হাজরার সঙ্গে ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি। সেই নিয়েও সুব্রত বলেন, ‘‘অমিত শাহের আগমনকে কেন্দ্র করে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অসম্মান করে হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে। যা বাংলার মানুষ মেনে নেয়নি। অমিত শাহের ছবির নীচে রবিঠাকুরের ছবি রেখে অপমান করা হয়েছে। সেই কারণেই জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সামনে আজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধরনা হবে।’’
অমিত শাহ দাবি করেছেন, গত দেড় বছরে রাজ্যে বিজেপির ৩০০ কর্মী খুন হয়েছেন। সেই দাবি অস্বীকার করে সুব্রতর মন্তব্য, ‘‘মিথ্যে বলছেন অমিত, বিজেপির বেশির ভাগ কর্মী খুন হয়েছেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে। বরং এই সময়কালে বিজেপির হাতে তৃণমূলের ১২৭ জন কর্মী খুন হয়েছেন। এ কথা তিনি বলেননি।’’
মেদিনীপুরের সভা থেকে জেপি নড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়েও কথা তুলেছিলেন বিজেপি নেতারা। রবিবার ফের সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে সুব্রতর স্পষ্ট জবাব, ‘‘বিজেপি সভাপতির কনভয়ের নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি ছিল না। কনভয়ে অতিরিক্ত গাড়ি ঢোকায় সমস্যা হয়েছিল। এতে রাজ্যের কোনও দোষ নেই।”
আরও পড়ুন: হাওয়ায় ভোট জেতা যাবে না, সংগঠনই মূল, অমিত-পরামর্শ
আরও পড়ুন: সরকার ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী, দাবি রিপোর্টে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy