Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

দাড়িভিটে গুলির প্রমাণ কোথায়, প্রশ্ন শুভেন্দুর

দাড়িভিট স্কুলে পুলিশের গুলি চালানোর প্রমাণ দিক বিজেপি। শনিবার এ ভাবেই বিজেপি-সহ বিরোধীদের অভিযোগ খারিজ করে দিলেন তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুরের দলীয় পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুল।—নিজস্ব চিত্র।

ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুল।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইসলামপুর শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:১০
Share: Save:

দাড়িভিট স্কুলে পুলিশের গুলি চালানোর প্রমাণ দিক বিজেপি। শনিবার এ ভাবেই বিজেপি-সহ বিরোধীদের অভিযোগ খারিজ করে দিলেন তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুরের দলীয় পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। পরিবহণ মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘বিজেপি প্রমাণ দেখাক পুলিশ গুলি চালিয়েছে। আছে কোনও প্রমাণ? আছে ভিডিয়ো?’’

এ দিন ইসলামপুর কোর্ট ময়দানে সভা করেন পরিবহণমন্ত্রী। সেখানেই বিরোধীদের অভিযোগ খণ্ডন করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘পুলিশ গুলি করেনি। বিজেপি এবং আরএসএস বিহার থেকে লোক এনে রাজেশ এবং তাপসকে হত্যা করেছে। তদন্ত চলছে। শীঘ্রই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে।’’ দাড়িভিটের স্কুলে স্থানীয় দুই যুবকের মৃত্যুর পর থেকেই রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে। পুলিশের বিরুদ্ধে গুলিচালানোর অভিযোগ তুলে শাসকদলকে রাজনৈতিক ভাবে চাপে রাখতে চাইছে বিজেপি-সহ অন্য বিরোধীরা।

এ দিন ইসলামপুরের সভায় তাদের দিকে পাল্টা আঙুল তুলেছেন শুভেন্দু। দাড়িভিটের অশান্তিতে নিহত রাজেশের বাবা নীলকমল সরকার অবশ্য এ দিন বলেন, ‘‘পুলিশ গুলি করেনি তা শুভেন্দু অধিকারী জানলেন কী করে? উনি তো আর এলাকায় ছিলেন না। আমরা ছিলাম, দেখেছি। সিবিআই তদন্তে আপত্তি কোথায়?’’

ঘটনার পর থেকে বন্ধ স্কুল পুজোর ছুটির পর চালু করার ব্যাপারে প্রশাসনিক স্তরে চেষ্টা শুরু হয়েছে। পরিবহণমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘স্কুল খোলার দায়িত্ব ডিআই-এর। শিক্ষা দফতর, প্রশাসন উদ্যোগী হয়েছে।’’ মন্ত্রীর এ দিনের সভার পর স্কুলে স্বাভাবিক পরিবেশ ফেরাতে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। প্রশাসন উদ্যোগী হয়েছে বলে জেলাশাসক দাবি করেছেন।

শুভেন্দুবাবু এ দিন বলেন, ‘‘নিহতদের পরিবার সিবিআই তদন্ত চেয়ে আদালতে গিয়েছে। ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছে। তারা যে দিন মনে করবে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে পারে। তারা চাইলে সরকারি অফিসারের সঙ্গে কথা বলবেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন।’’ তৃণমূলের এই সভার আগেই মৃত দুই যুবকের পরিবারের সদস্যেরা শিলিগুড়িতে চলে যান। জেলা বিজেপির নেতারা এই ব্যবস্থা করেছিলেন। বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘নিহতদের পরিবারকে নানা ভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে। তাই এ দিন তাঁরা চলে গিয়েছিলেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE