Advertisement
১৮ মে ২০২৪
West Bengal Lockdown

ছাড়ের সুযোগে সচল কৃষিক্ষেত্র, বন্ধই রইল চটকল

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ১৫% লোক নিয়ে রাজ্যের চটকললগুলিতে কাজ চালু করা যাবে।

পিটিআইয়ের তোলা প্রতীকী ছবি।

পিটিআইয়ের তোলা প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন 
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২০ ০১:১৭
Share: Save:

লকডাউনেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করে সোমবার থেকে আর্থিক কর্মকাণ্ড শুরুর অনুমতি দিয়েছিল কেন্দ্র। সেই মতো প্রস্তুতিও নিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু রাজ্যের সর্বত্র কাজ শুরু করা গেল না। কাজ হয়নি চটশিল্পে। উত্তরবঙ্গের কিছু চা-বাগানে কাজ শুরু হয়েছিল কয়েক দিন আগে। সোমবার থেকে সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও কিছু চা-বাগান। তবে ১০০ দিনের কাজ ও কৃষিক্ষেত্রে বিধি মেনে কাজ শুরু হয়েছে রাজ্যে প্রায় সর্বত্রই।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ১৫% লোক নিয়ে রাজ্যের চটকলগুলিতে কাজ চালু করা যাবে। কিন্তু বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এত কম লোকে চটকলে উৎপাদ‌ন অসম্ভব। একই কথা জানায় মালিকপক্ষও। হলও তাই। ব্যারাকপুর, হাওড়া, হুগলির কোনও চটকলেই এ দিন কাজ শুরু হয়নি। নানা জটিলতায় সোমবার থেকে উৎপাদন শুরু করতে পারেনি শক্তিগড়ের বড়শুলের চটকলও। তবে উত্তরবঙ্গের গাজোলে দু’টি চটকলে বিধি মেনে কাজ হয়েছে।

এ দিন বাঁকুড়ার বড়জোড়া শিল্পাঞ্চলে তিনটি ফেরো-অ্যালয় কারখানা চালু হয়েছে। কয়েকটি ছাই ইট তৈরির কারখানাও খুলেছে। সর্বত্রই কাজ হয়েছে কম কর্মী নিয়ে। রাজ্যের কয়েকটি জেলায় ইটশিল্পও চালু হয়েছে। কোচবিহারে কিছু ইটভাটায় কাজ শুরু হয়েছে এ দিন। তবে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের ইটভাটাগুলি চালু করা যায়নি। খড়্গপুরের উপকন্ঠের শিল্পতালুকে কয়েকটি কারখানায় স্থায়ী শ্রমিকদের যেতে দেখা গিয়েছে। কোচবিহারে ক্ষুদ্র শিল্প তালুকের কিছু কারখানাতেও এ দিন অল্প সংখ্যক শ্রমিক এসে কাজ শুরু করেছেন। মালদহের নারায়ণপুর শিল্পতালুকে একটি প্যাকেজিং কারখানাতে এ দিন কাজ চালু হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘ভাত দে, প্যাটে কিসু নাই রে’, রূপান্তরকামীদের কান্নায় ত্রাতা হয়ে উঠছেন ‘সুমিদি’

ছাড়ের সুযোগ নিয়ে প্রায় সব জেলাতেই কমবেশি শুরু হয়েছে ১০০ দিনের কাজ। ঝাড়গ্রামের ৮টি ব্লকে ৩৫টি প্রকল্পে শুরু হয়েছে এই কাজ। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ৬,৯৩৮ জন অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ করে একশো দিনের কাজ শুরু হয়েছে। হুগলির বিভিন্ন জায়গায় ১০০ দিনের কাজের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উত্তরবঙ্গেরও অনেক জায়গায় কাজ হয়েছে।

আরও পড়ুন: হাওড়ায় হোম ডেলিভারির আওতায় প্রায় ১ লক্ষ মানুষ

লকডাউনেও এত দিন মাঠের কাজ থেমে ছিল না। কিন্তু প্রয়োজনীয় সার-কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছিল না। এ দিন থেকে তা মিলতে শুরু করেছে। অনেক জেলাতেই এ দিন সার-বীজ এবং কৃষি সরঞ্জামের দোকান খুলছে। মাঠে কীটনাশক ছড়াতেও দেখা গিয়েছে চাষিদের। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কৃষি-শ্রমিক, কৃষ-যন্ত্রপাতি, সার-বীজ— কোথাও সমস্যা নেই। ধান কাটা, ধান বিক্রি, কিসান মান্ডি খুলে দেওয়া হয়েছে।’’


(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

West Bengal Lockdown Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE